Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ, উত্তরবঙ্গে দুই হাসপাতালে ভাঙচুর

মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল ও আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ধুন্ধুমার৷  

Patient’s kin vandalize Hospitals in Malda, Alipurduar
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 24, 2018 2:10 pm
  • Updated:July 24, 2018 2:10 pm

বাবুল হক ও রাজকুমার কর্মকার: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে ধুন্ধুমার৷ জ্বর নিয়ে ভরতি হওয়া এক মহিলার মৃত্যুর জেরে ভাঙচুর করা হয় মালদহের মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে৷ মারধর করা হয় চিকিৎসককেও৷ এদিকে, প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালেও৷

[বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুকে উদ্ধার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন]

জ্বর নিয়ে মালদহের ধনরাজপুর এলাকার বাসিন্দা লতিকা মাহালাদার সোমবার রাতে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি হন৷ অভিযোগ, ভরতি করার পর কর্মরত চিকিৎসকেরা চিকিৎসা করেননি তাঁর। বিনা চিকিৎসায় ওয়ার্ডে পড়েছিলেন ওই মহিলা৷ অক্সিজেনের প্রয়োজন থাকলেও, তা দেওয়া হয়নি তাঁকে৷ প্রশ্ন করা হলেও রোগীর শারীরিক অবস্থার কথা জানানো হয়নি মহিলার পরিজনদেরও৷ অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের কথাও বলা হয়নি৷ এরপর মঙ্গলবার ভোররাতেই মারা যান লতিকা৷

Advertisement

[বাগডোগরার দম্পতি খুনের ঘটনায় কালিম্পং থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত সঞ্জয়]

মহিলার মৃত্যুর খবর পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তাঁর আত্মীয়রা৷ তারা হাসপাতালে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। লেবার রুম-সহ জরুরি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। চিকিৎসক রথীন কুণ্ডুকেও বেধড়ক মারধর করেন তারা৷ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মানিকচক থানার পুলিশ৷ মৃতার আত্মীয়রা পুলিশ কর্মীদেরও মারধর করতে উদ্যত হয়৷ পরে যদিও অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী হাসপাতালে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Advertisement

[নেই সেতু, প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই নদী পেরিয়ে স্কুলে যাচ্ছে খুদেরা]

এদিকে, সোমবার গভীর রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল৷ রবিবার বিকেলে পারিবারিক বিবাদের জেরে বিষ খেয়ে ওই হাসপাতালে ভরতি হন মুনমুন রায় নামে এক গর্ভবতী মহিলা৷ সোমবার রাতে মারা যান তিনি৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মুনমুনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের৷ আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া বীরপাড়া এলাকা থেকে মৃতার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে জমায়েত হতে থাকেন। বেগতিক বুঝে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের সামনেই হাসপাতালে ভাঙচুর চালান রোগীর পরিবারের লোকজন৷ হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীকেও মারধর করা হয়।  

[শহরের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থে ৫০ বছরের জঞ্জাল বিক্রি করবে শিলিগুড়ি পুরনিগম]

দুটি ক্ষেত্রেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও গাফিলতির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পালটা দাবি, মুমুর্ষু অবস্থায় নিয়ে আসার জেরেই মারা গিয়েছেন ওই দুই মহিলা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ