চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়,আসানসোল: জনসংযোগ যাত্রায় নেমে জেঠু-দাদুদের কাছে ধমক খেলেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় জনসংযোগ যাত্রাকেই প্রচারে প্রাধান্য দিয়ে লিফলেট ছেপেছেন। শুক্রবার আসানসোলের কুলটিতে রাস্তার ধারে এলাকার নানা বয়সি বাসিন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন সেই লিফলেট। তাতে লেখা – “আপনারা বলবেন,আমরা শুনব”।
[আরও পড়ুন: এখনও শুনশান ভাটপাড়া, আজই পরিদর্শনে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল]
সেই লিফলেটে রীতিমত পয়েন্ট দিয়ে দিয়ে প্রশ্ন, আমাদের দোষ কোথায়? উন্নয়ন কি করতে পারিনি? স্বাস্থ্য পরিষেবা কি দিতে পারিনি? বিপদে কি পাশে দাঁড়াতে পারিনি? তাহলে আমরা ভুল করেছি, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’ সেই লিফলেট হাতে পেয়েই চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ছেন কেউ কেউ। কেউ আবার ছিটকে দূরে সরে যাচ্ছেন। কারও বক্তব্য, প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে৷ এখন আর ড্যামেজ কন্ট্রোল হবে না। কারও কটাক্ষ – এখন মনে পড়ল? কেউ অভিযোগ জানালেন, নতুন রেশন কার্ড পাননি। কারও সমস্যা বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে। কারও বা শৌচালয় নিয়ে।
তবে এত ক্ষোভ-বিক্ষোভের মাঝে পড়েও ধৈর্য হারাননি তৃণমূল যুব নেতা বিশ্বজিৎ ও দলের অন্যান্য কর্মীরা৷ তাঁরা জনগণের সমস্ত অভিযোগ শুনলেন মন দিয়ে। সঙ্গে থাকা নোটবুকে পথচলতি মানুষের নাম, ফোন নম্বর ও সমস্যার কথা লিখে রাখলেন৷ আশ্বাস দিলেন, যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করবেন৷ এইভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কুলটি চলবলপুর থেকে প্রথমদিনের জনসংযোগ যাত্রা শুরু হয়েছে তৃণমূলের তরফে। লক্ষ্য একটাই, হৃত জনসমর্থন ফিরে পাওয়া৷
[আরও পড়ুন: প্রয়োজনে নতুন মুখ এনে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, নদিয়ার পর্যালোচনা বৈঠকে কড়া মমতা]
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই জনসংযোগ যাত্রা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ রাজ্যের সব জায়গায় ব়্যালি হলেও ব্যতিক্রমী ছবি দেখা গেল কুলটিতে। দলীয় নেতৃত্বকে সামনে পেয়ে সমস্ত ক্ষোভ-বিক্ষোভ উগড়ে দিলেন আমজনতা৷ আর তাঁদের কথা মনে দিয়ে শোনাও হল৷ দু’পক্ষের মধ্যে প্রকৃত সংযোগ তৈরি হল৷ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘যুবনেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা রাস্তায় নেমেছি। মানুষ মান-অভিমানের কথা শোনাচ্ছেন মানে আমরা সঠিক দিশায় আছি। নইলে মুখ ফিরিয়ে নিতেন তাঁরা, কথাই বলতেন না কেউ। এখানেই আমাদের জনসংযোগ যাত্রার সাফল্য।’ যুব নেতা যতই এই মুহূর্তে সাফল্য দাবি করুক, শাসকদলের এই কর্মসূচি আসলে কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে, তা বোঝা যাবে আগামীর ভোটবাক্সেই৷
দেখুন ভিডিও: