Advertisement
Advertisement

জয়নগর কাণ্ডে জারি ধরপাকড়, পুলিশের জালে আরও ১

এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত বাবুয়া ওরফে আবু কাহার৷

Police arrested a man in Jaynagar Shootout case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 15, 2018 11:45 am
  • Updated:December 15, 2018 11:45 am

দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগরে বিধায়কের গাড়িতে বোমা-গুলি চালিয়ে খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ ধৃতের নাম আরমান গাজি৷ জয়নগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে৷ মূল অভিযুক্ত বাবুয়া ওরফে আবু কাহার এখনও ফেরার৷ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷ জয়নগরে শুটআউটের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট বারোজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

[সোনারপুরে ব্যবসায়ীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার, মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা]

বৃহস্পতিবার রাতে জয়নগরের দুর্গাপুর পেট্রল পাম্পের সামনে বিধায়কের গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। তখনই ওই গাড়ি লক্ষ্য করে চলে গুলি ও বোমা। বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস সেই সময় গাড়িতে ছিলেন না৷ তবে, এই ঘটনায় জয়হিন্দ বাহিনীর নেতা-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই জয়নগর কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিআইডি৷ তদন্তে নেমে শুক্রবারই এক কুখ্যাত সুপারি কিলার-সহ ১১জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত আবদুল গফর মোল্লা, শাহজামাল লস্কর ও আশিস হালদার মন্দিরবাজারের বাসিন্দা৷ পেশাদার খুনি ও শার্প শুটার হিসাবে পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে তার। অন্য তিন জনের বাড়ি জয়নগর থানা এলাকায়। শুক্রবার সকালেই ধরা পড়ে আরও সাতজন। হত্যাকাণ্ডে যুক্ত অন্য ধৃতরা হল মেহেদি হাসান লস্কর, হাসিবুল পুরকাইত, এমাদুল খান, সালাউদ্দিন মণ্ডল, অরিজিৎ হালদার, শম্ভু নাইয়া ও মনিরুল ইসলাম গাজি।

Advertisement

[সাড়ে ৮৪ লক্ষ টাকার কয়েন সরিয়ে গ্রেপ্তার ব্যাংক আধিকারিক]

ঘটনার তদন্তভার সিআইডি নিলেও ধৃতদের জয়নগর থানার হেফাজতে রেখেই জেরা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতভর জয়নগর থানায় শাহজামাল ও মনিরুলকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। মন্দিরবাজারের বাসিন্দা সুপারি কিলার শাহজামাল লস্কর জেরায় স্বীকার করেছে, টাকার বিনিময়ে জয়হিন্দ নেতা সারফুদ্দিন খানকে খুনের বরাত পেয়েছিল সে। এক লক্ষ টাকা অগ্রিমও নিয়েছিল। সারফুদ্দিনকে খুন করতে এসে অন্য দু’জন বোমা-গুলির বৃষ্টির মধ্যে পড়ে মারা গিয়েছেন৷ শাহজামাল লস্কর ছাড়াও মনিরুল ইসলামের মতো পেশাদার খুনিরা জেরায় পুলিশকে জানিয়েছে, বিধায়ক নন, শুধু সারফুদ্দিনকেই খতম করতে এসেছিল দুষ্কৃতীর টিম। বস্তুত এই কারণে বিধায়ক নেমে যাওয়ার পরেই গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা-গুলি চালায় তারা। এদিকে, পুলিশের জেরায় মনিরুল স্বীকার করেছে, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আবু কাহার ওরফে বাবুয়া। ঘটনার সময় বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে শাহজামালের পাশাপাশি মনিরুলও গুলি চালায়। ঘটনার পরই সে চলে যায় জয়নগরের মহিষমারিতে। সেখানে এক পরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে ওঠে। মদ্যপ অবস্থায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে মনিরুলরা। তবে মূল পরিকল্পনাকারী আবু কাহার ওরফে বাবুয়া এখনও ফেরার। তার খোঁজেই তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা৷ 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ