ধীমান রায়, বর্ধমান : প্রশাসনিক সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত আগাম বরপণের টাকা ফেরত পেল কন্যাপক্ষ। প্রশাসনার হস্তক্ষেপে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে আগেই বন্ধ হয়েছিল। শুধু বাধ সেধেছিল আগাম বরপণের ন’হাজার টাকা। অভিযোগ, বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও কিছুতেই টাকা ফেরত দিচ্ছিল না বরপক্ষ। সেই টাকা না পেয়ে একপ্রকার বিপাকেই পড়েছিলেন মিঠুদেবী। অবশেষে সমস্যার সুরাহা।
[এনজেপি নয়, দার্জিলিং মেল এবার ছাড়বে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে!]
পেশায় দিনমজুর মিঠু মাঝি। বাড়ি কাটোয়ার নাসিগ্রামে। কিছুদিন আগেই নাবালিকা মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করেন মিঠুদেবী। পাত্রও ঠিক হয়। ভাতারের দেবপুর গ্রামের রতন মাঝির সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দেবেন মিঠুদেবী। মেয়ের বিয়ের জন্য দিনমজুরির আয় থেকে জমানো ন’হাজার টাকা রেখেছিলেন। বিয়ের আগেই কথামতো সেই টাকা বরপক্ষকে দিয়ে দেন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গত ৩১ জানুয়ারি ছিল বিয়ের দিন। অবশ্য সে বিয়ে সুসম্পন্ন হয়নি। খবর পেয়ে প্রতিবেশীদের বদান্যতায় নাবালিকা বিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। এদিকে নাসিগ্রামে বিয়ে না হলেও বসে থাকেননি পাত্র রতন মাঝি। ওই দিনই অন্যত্র বিয়েটা সেরে ফেলেন।
[অবিশ্বাস্য! বৃদ্ধার গলা থেকে বেরল ১ কেজি ৭০০ গ্রামের টিউমার]
এদিকে সমস্ত আয়োজন করেও মেয়ের বিয়ে আটকে গেল আইনি গেরোয়। অকুল পাথারে পড়লেন মিঠু মাঝি। ঘটনাচক্রে নয় হাজার টাকা আগাম বরপণ বাবদ রতন মাঝিকে দিয়ে রেখেছিলেন। বিয়ে ভেঙে গেলে সেই টাকা ফেরত চান তিনি। অভিযোগ, আগাম বরপণের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে রতন মাঝির পরিবার। একপ্রকার বিপাকে পড়েই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন মিঠুদেবী। গত শুক্রবার অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারি তিনি ভাতারের বিডিও-র কাছে এই মর্মে একটি অভিয়োগ জানান। মিঠুদেবীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই বিডিও-র দপ্তর থেকে ভাতার থানার ওসির সঙ্গে যোগায়োগ করা হয়। নির্দেশ মাফিক পদক্ষেপ নেয় ভাতার থানার পুলিশ। থানা থেকে টাকা ফেরতের নির্দেশ যায় রতন মাঝির বাড়িতে। আজ থানায় এসে নির্দেশ মাফিক মিঠু মাঝির হাতে বরপণ বাবদ নেওয়া ন’হাজার টাকা তুলে দেন রতন মাঝির মা। প্রশাসনিক সহযোগিতায় হাসি ফুটেছে মিঠু মাঝির মুখে। দায়িত্ব পালন করতে পেরে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে পুলিশও।