Advertisement
Advertisement

Breaking News

কোন্নগর কলেজ

পড়ুয়াদের সঙ্গে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষ, হীরালাল কলেজে মার খেলেন অধ্যাপক

কলেজের মধ্যেই ২৬ জন পড়ুয়াকে বিকেল পর্যন্ত আটকে রাখা হল।

Professor beaten by the agitating students at a college in Konnagar
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 24, 2019 9:23 pm
  • Updated:July 25, 2019 1:35 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সামান্য হাই বেঞ্চে বসে এমএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বচসা। শুধু তাই নয়, সকাল থেকে কলেজের গেট বন্ধ করে ক্যাম্পাসের মধ্যেই ২৬ জন ছাত্রছাত্রীকে বিকেল পর্যন্ত আটকে রাখা হল। পরে ‘তৃণমূল জিন্দাবাদ’, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ বলতে অস্বীকার করায় বুধবার ছাত্রীদের সঙ্গে ছাত্র সংসদের তীব্র সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজ। সংঘর্ষ থামাতে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে ছাত্র সংসদের ছেলেদের হাতেই বেধড়ক মার খেলেন কলেজেরই শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।

[ আরও পড়ুন: OMG! মহিলার পেট থেকে বেরল ২ কেজির গয়না, চোখ কপালে ডাক্তারদের ]

Advertisement

হীরালাল পাল কলেজের এমএ বাংলা বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ২৬ জন ছাত্রছাত্রীর আজ কলেজের শেষ দিন ছিল। স্বভাবতই ছিল খুশির মেজাজ। ক্লাসে বসে সকলে মিলে গল্প করছিলেন। হঠাৎই ছাত্র সংসদের সদস্য তথা স্নাতক স্তরের ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের এসে বলেন, “বেঞ্চ থেকে নেমে বোস।” তখনই তাঁরা বেঞ্চ থেকে নেমে বসেন আর বলেন, “তোমরা আমাদের থেকে জুনিয়র। সেখানে তোমরা আমাদের তুই-তুকারি করছ কেন, অন্তত ন্যূনতম সম্মান দিয়ে তুমি বলো।” ব্যাস এতেই আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। ছাত্র সংসদের সদস্যরা এমএ-র ছাত্রী শিউলি ঘোষকে চড় মারে। এরপরই ২৬ ছাত্রীই তীব্র প্রতিবাদ জানান। ছাত্র সংসদ কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রীদের কলেজের মধ্যে আটকে রাখা হয়। শেষপর্যন্ত কলেজেরই এক শিক্ষিকা ও শিক্ষক ছাত্র সংসদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। বলেন, “তোমরা দুই পক্ষই ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নাও। দুই পক্ষই ক্ষমা চেয়ে নেয়।”

Advertisement

কিন্তু হঠাৎই তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের ছাত্রছাত্রীরা দাবি করে এমএ-র ছাত্রীদের ‘তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ’, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ বলতে হবে। এতে ছাত্রীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। বলেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী নন, আর কলেজে তাঁরা রাজনীতি করতে আসেননি। এরপরই ছাত্রীদের কলেজে আটকে রাখা হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলেজের গেট দিয়ে এমএ-র ছাত্রীরা বেরোতে গেলে তাঁদের ছাত্র সংসদের ছেলেমেয়েরা তাড়া করলে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় কলেজেরই শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় মধ্যস্থতা করতে যান। ছাত্র সংসদের ছেলেরা কলেজ গেটের সামনে তাঁকে রীতিমতো মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন। মারের চোটে সুব্রতবাবুর কপাল কেটে যায়। মুখে আঘাত লাগে। ছাত্রদের এই অমানবিক আচরণে রীতিমতো অসম্মানিত ও ক্ষুব্ধ সুব্রতবাবু জানান, তিনি এর বিচারের জন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের দ্বারস্থ হবেন।

[ আরও পড়ুন: চার্জে থাকা অবস্থাতেই মোবাইলে কথা, বিস্ফোরণে মৃত যুবতী ]

এদিকে এলাকার মানুষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “এই সব ছাত্ররাই আমাদের ভবিষ্যৎ, ভাবতে লজ্জা লাগে।” তাঁরাও চান এর বিচার হোক। কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজেশ্বরী মুখোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বচসাকে কেন্দ্র করে তাঁকেই এমএ-র ছাত্রীরা মারধর করেছেন। স্যারকে কোনও মারধর করা হয়নি। বরং স্যারই কলেজ গেটের সামনে বসে পড়ে ‘সিন ক্রিয়েট’ করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ