সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেল হেফাজতে থাকা বিশেষভাবে সক্ষম হকারের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রেল অবরোধে সামিল মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সকালে অবরোধের জেরে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার লেবুতলা স্টেশন। রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশীরা। সূত্রের খবর, সকাল ৮ টা থেকে বন্ধ শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার ট্রেন চলাচল। ঘণ্টা দুই কেটে গেলেও, তা স্বাভাবিক হয়নি বলে রেল সূত্রে খবর৷
[আরও পড়ুন: সিংহের গুহায় ফুলের বাগান পুরুলিয়ায়, কঠিন লড়াই রাঢ়ভূম পুরুলিয়ায়]
ঘটনার সূত্রপাত ৩ মে। ওই দিন ফণীর আতঙ্কে ট্রেন বাতিল করেছিল রেল। আর এর জেরে যাত্রী বিক্ষোভ চরমে ওঠে। যাত্রী বিক্ষোভে শামিল হয়ে অন্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় বই-খাতা বিক্রেতা বিশেষভাবে সক্ষম যুবক গৌতম মণ্ডল (২৪)। আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজত হয় তাঁর। দমদম সেন্ট্রাল জেলে থাকাকালীন মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়েন গৌতম। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করার পর রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর প্রায় দেড় দিন কেটে গেলেও এখনও দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। এমনকী দেহ ময়নাতদন্তেও পাঠান হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা নাগাদ শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার লেবুতলা হল্ট স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষোভে রেল লাইনে আগুনও জ্বালিয়ে দেন তাঁরা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থল যায় বারাসত জিআরপি, লেবুতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়িতেও।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টায় উত্তপ্ত শ্যামনগর, কাঠগড়ায় বিজেপি]
মৃতের পরিবারের প্রশ্ন, গৌতম মণ্ডলের মৃত্যুর পর প্রায় দেড়দিন কেটে গেলেও এখনও কেন ময়নাতদন্তে পাঠানো হল না দেহ? কেনই বা এখনও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল না মরদেহ? তাঁদের দাবি অবিলম্বে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। যদিও এবিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের তরফে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত অবরোধ জারি থাকবে। অফিসের ব্যস্ত সময়ে এই অবরোধের জেরে নাকাল নিত্য যাত্রীরা৷
দেখুন ভিডিও: