Advertisement
Advertisement

রোগীর আত্মীয়দের হাতে প্রহৃত চিকিৎসকরা, কর্মবিরতি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে

গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্ত, কড়া শাস্তির আশ্বাস পুলিশের।

Doctors of burdwan medical college beaten up by patient's relatives, protest going on
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 11, 2018 8:47 pm
  • Updated:June 11, 2018 8:47 pm

সৌরভ মাঝি, বর্ধমান: মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধান। ফের রোগীর আত্মীয়দের হাতে চিকিৎসকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে এক সিনিয়র চিকিৎসক ও কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে খবর। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনার প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। সুপার ও ডেপুটি সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বসেন তাঁরা। শুরু করেন সাময়িক কর্মবিরতি। অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই, তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিরাপত্তার আশ্বাস মিললে ও অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হলে কর্মবিরতি উঠে যায়।

[উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্য পেলেও থমকে বিউটির শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন]

Advertisement

গত বুধবার রাতেও একইভাবে একদল রোগীর আত্মীয়র হাতে ব্যাপক ভাবে প্রহৃত হন এক চিকিৎসক। পাঁচদিনের ব্যবধানে চিকিৎসকদের উপর আবার হামলার ঘটনায প্রতিবাদে সরব হয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ, গতবছর শেষের দিকে একইভাবে হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছিল। তখন টানা তিনদিন কর্মবিরতি পালন করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তখন পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। সেই কর্মী নিয়োগও হয়। কিন্তু তারপরেও হামলা বন্ধ হয়নি বা হামলা রোখা যায়নি। সোমবার সকালের ঘটনায় সিনিয়র চিকিৎসক (ভিজিটিং প্রফেসর) কেকে দে, জুনিয়র ডাক্তার সঞ্জীব হালদার, অপূর্ব ঘোষ গুরুতর জখম হয়েছেন। চিকিৎসক কেকে দে বলেন, দীর্ঘদিন ডাক্তারি করছি। এমনভাবে মারধর খেতে হয়নি। এখন মনে হচ্ছে চাকরিই আর করা যাবে না। তিনিই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Advertisement

[আকাশপথে নবদ্বীপের চৈতন্য মহাপ্রভুর পাদুকা পৌঁছল বাংলাদেশে]

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বড়ঞ্চার বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর সাইফুল শেখ কয়েকদিন আগে দুর্ঘটনায় জখম হন। তাঁকে প্রথমে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাতে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁকে জরুরি বিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এদিন সকালে রোগীর কয়েকজন আত্মীয় সেই ওয়ার্ডের প্যাসেজে বসেছিলেন। চিকিৎসক কেকে দে ও অন্য জুনিয়র ডাক্তাররা রোগী দেখতে যান। তখন রোগীর আত্মীয়দের ওয়ার্ড থেকে বাইরে যেতে বলা হয়। কিন্তু রোগীর আত্মীয়রা সেখান থেকে যেতে চাননি। এই নিয়ে চিকৎসকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এরপরই রোগীর আত্মীয়রা মারমুখী হয়ে ওঠেন। চিকিৎসক কেকে দে-কে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁকে বাঁচাতে গেলে চিকিৎসকদের মারধর করে রোগীর আত্মীয়রা। মুখে আঘাত লাগে তাঁদের। হাত কেটে যায়। হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

[প্রতিশ্রুতি মতো শ্রেণিকক্ষে নেই পাখা, স্কুলে ভাঙুচর চালালো পড়ুয়ারা]

এরপরই জুনিয়র ডাক্তার সুপার ও ডেপুটি সুপারের ঘরের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সাময়িক কর্মবিরতিও শুরু হয়ে যায়। হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁ জানান, চিকিৎসকদের এইভাবে মারধর করা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনায় জড়িতদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে পুলিশকে। পুলিশ জানিয়েছে, মুর্শিদবাদের বড়ঞ্চার বাসিন্দা বদরে আলম, কান্দির সাইফুল শেখ ও আরও একজনকে ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ