Advertisement
Advertisement

অপহৃত বিজেপি নেতার মেয়ে, জনরোষের মুখে লাভপুরের ‘ত্রাস’ মণিরুল ইসলাম

পুলিশের সাহায্যে জনতার ক্ষোভ থেকে উদ্ধার হন বিধায়ক।

Public agitation against Manirul Islam
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 17, 2019 9:56 am
  • Updated:February 17, 2019 12:35 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বীরভূমের লাভপুরের ‘ত্রাস’ যিনি, সেই তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামই এবার নিজেকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন। শনিবার বিকেলে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সময়ে বিধায়কের গাড়িটি ঘিরে ধরে জনতা। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা মণিরুলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকেন। গাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়। কোনওক্রমে তখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দেন বিধায়কের দেহরক্ষী। ইতিমধ্যে বিধায়কের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় লাভপুর থানার পুলিশ। জনতার হাত থেকে মণিরুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১জনকে। এই দৃশ্য দেখে গুঞ্জন শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। কটাক্ষ চলছে, লাভপুরের ‘সিংহ’ জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে ‘ইঁদুর’ বনে গেলেন।

কথা রেখে ফাল্গুনেই ফিরল নদিয়ার সুদীপ, তবে শহিদ হয়ে

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যালের মেয়ে প্রথমার অপরহণ ঘিরে। ওই দিন সন্ধ্যায় কেউ বা কারা প্রথমার বাড়িতে ঢুকে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে পালায় জনা কয়েক দুষ্কৃতী। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ নেই। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থমকে গিয়েছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু টানা দু’দিন ধরে পাড়ার মেয়ের কোনও খবর না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের দুশ্চিন্তা আক্রোশে পরিণত হয়। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ, বিক্ষোভ চলে। এমনকী কীর্ণাহার, ইন্দাস পর্যন্তও ছড়িয়ে পড়ে জনতার বিক্ষোভ। এনিয়ে বীরভূম পুলিশ সুপার শ্যাম সিংয়ের দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন মহিলা সমিতির সদস্যরা।

Advertisement

মেয়েকে শ্লীলতাহানির অপরাধে ১০ বছরের কারাদণ্ড বাবার

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুর নাগাদ ইন্দাস হয়ে লাভপুরে নিজের গ্রামে ফিরছিলেন বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। জনতার ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তাঁর ওপর। এলাকার মেয়েকে এভাবে অপহরণের পর কেন প্রশাসনের তরফে তাঁকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, কাদের মদতে এমন ঘটনা – এসব প্রশ্ন তুলতে থাকেন তাঁরা। সেইসঙ্গে গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। জনরোষ এমনই তীব্র ছিল যে গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়াও সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিধায়কের কিছুটা বাকবিতণ্ডা হয় বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে না পৌঁছলে হয়ত বড়সড় হামলার মুখে পড়তেন মণিরুল ইসলাম। ঘটনার পর বিধায়কের ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশ ১১ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে শনিবারের ঘটনার পর মণিরুল প্রথমার বাড়ি গিয়ে দেখা করেন। দ্রুত তাঁকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ