Advertisement
Advertisement

Breaking News

হনুমানের দোসর ‘পাগলা’ কুকুর, পুজোর মুখে আতঙ্ক সিউড়িতে

‘পাগলা’ কুকুরের কামড়ে আহত ৪০ জন৷

street dog sparks panic in Suri
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 10, 2018 4:49 pm
  • Updated:October 10, 2018 4:49 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি:  একদিকে বাঘের আতঙ্ক৷ সঙ্গে হনুমানের উপদ্রব৷ এবার পাগলা কুকুর! গত কয়েকদিনে কুকুর কামড়েছে ৪০ জনকে৷ কিন্তু, সারমেয়টিকে এখনও ধরা যায়নি৷ আতঙ্কে সিউড়ির নগরী পঞ্চায়েতের চার-পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা৷ জেরবার বনদপ্তরও৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যাঁদের কুকুর কামড়েছে, তাঁরা হাসপাতালে গিয়েও জলাতঙ্কের প্রতিষেধক পাননি৷ যদিও গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত  করেছেন বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি. তাঁর দাবি, প্রতিটি হাসপাতালে পর্যান্ত পরিমাণে জলাতঙ্কে প্রতিষেধক রয়েছে৷ এদিকে আবার একটি কুকুরের জন্য অন্য কুকুরদের উপর অত্যাচার না করার জন্য গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন জানিয়েছে বনদপ্তর৷ 

[মোড়লের নিদান, ডাইন অপবাদে কাটা হল আদিবাসী যুবকের দশ আঙুল]

বীরভূমের সিউড়ির নগরী, পাতরা, কামার ডাঙা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পাগলা কুকুরের আতঙ্ক। গ্রামবাসীদের দাবি, রাস্তা বেরোলেই যখন তখন কুকুর কামড়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি এমনই, যে পুজোর বাজার করা তো দুর অস্ত, স্কুলেও পর্যন্ত যেতে ভয় পাচ্ছে শিশুরা। হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা বেরোতে হচ্ছে।  স্কুল পড়ুয়া তপন হেমব্রমের কথায়, ‘‘পাশের টিউবওয়েল থেকে জল আনতে গিয়েছিলাম। তখনই আমাকে কামড়ে উধাও হয়ে যায় কুকুরটি।’’ একইভাবে কুকুরের রোষে পড়েছে গুলু বাগদি নামে এক গৃহবধূ। বলেন, ‘‘বাড়ির বাইরে বেরোলেই আক্রমণ করছে কুকুরটি৷ কিন্তু, তাকে ধরা যাচ্ছে না। ‘ কুকুরটিকে আবার সকালে দেখা যাচ্ছে না৷  কিন্তু সন্ধ্যায় নামলেই সামনে যাকে পাচ্ছে, তাকে কামড়ে দিচ্ছে সারমেয়টি৷ 

Advertisement

[এবার বিশ্ববিদ্যালয়েও ইউনিফর্ম পরে যেতে হবে পড়ুয়াদের!]

Advertisement

এদিকে  কুকুরের আতঙ্কে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা গ্রামবাসীদের, তখন হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ৷ মঙ্গলবার ভোর রাতে কুকুর কামড়ায় নবগ্রামের আদুলি বাউড়িকে৷  সকাল ন”টায় সিউড়ি হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি৷ আদুলি বাউড়ির অভিযোগ,  চিকিৎসা তো হচ্ছেই না, বরং রোগীদের অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে.  বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি অবশ্য জানিয়েছেন,  জেলার প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্রতিষেধক মজুত আছে৷ গ্রামবাসীদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ