সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল থেকেই বৃষ্টিভেজা শহর কলকাতা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে৷ মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার জন্য সারাদিন চলবে বৃষ্টিপাত৷ শনিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জমা জলে শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যান চলাচল ব্যাহত। শাল ও কুয়ে নদীর জলে বীরভূমের একাংশ জলমগ্ন।
রাতভর ভারী বৃ্ষ্টির জেরে জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা৷ অফিস টাইমে তৈরি হয় যানজট৷ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এস এন ব্যানার্জি রোড, পার্ক স্ট্রিট, বাইপাসে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
[প্যাকেটে কম খাবার, মোটা অঙ্কের জরিমানা পেপসিকোর]
অন্যদিকে প্লাবিত রাজ্যের বেশ কিছু জেলা। গুজরাট থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে৷ এর প্রভাবে উপকূলবর্তী দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান,বীরভূমে ভারী বৃষ্টি চলছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর৷ হাওড়ার বেশ কিছু ওয়ার্ড ইতিমধ্যেই জলের তলায়। মুর্শিদাবাদের কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঝাড়খন্ডের তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় লাভপুরের লাঘাটা সেতু প্লাবিত। সিউড়ি কাটোয়া রোড জলমগ্ন। কুয়ে নদীতে জলস্ফীতির ফলে প্লাবিত দুবরাজপুর। খয়রাশোলের কয়েকটি গ্রামেও জল ঢুকেছে।কোপাই নদী বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। নদীর জল ঢুকেছে কঙ্কালীতলা মন্দিরে। বিগ্রহ পাশের শিবমন্দিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শাল নদীর জলে বানভাসি ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। দক্ষিণবঙ্গে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সতর্ক নবান্ন। সেচ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার আগে নবান্নকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[জওয়ানদের জন্য পুষ্টিকর খাবার বানাচ্ছে DRDO, জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী]