সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাঁসফাঁস গরম থেকে আপাতত মুক্তি দক্ষিণবঙ্গের। জুনের গোড়াতেই বৃষ্টির ছোঁয়া পেল বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার একাংশ। কোথাও ঝমঝমিয়ে, কোথাও সামান্য বৃষ্টি হলেও তাতেই খুশি সাধারণ মানুষ। কলকাতা অবশ্য এই সুখে বঞ্চিতই থাকল।
চড়চড়িয়ে বেড়েছে পারদ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আপেক্ষিক আর্দ্র্রতাও। যদিও এর মধ্যে কালবৈশাখীর দেখা পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ, তবুও অস্বস্তির গরম থেকে যেন কিছুতেই রেহাই মিলছিল না। আপেক্ষিক আর্দ্রতা চড়তে থাকায় বেলা বাড়তেই ঘেমে নেয়ে একসা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। সেই পরিস্থিতি থেকে খানিকটা রেহাই মিলল সোমবার। মুষলধারে বৃষ্টি পেল মুর্শিদাবাদ। কান্দি, বহরমপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির খবর মিলেছে। পাশের জেলা বীরভূমেও বৃষ্টি মন্দ হয়নি। সিউড়ি, রামপুরহাটেও নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার কয়েকটি জায়গাও ভিজেছে। নদিয়াও বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়েছে। উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির সঙ্গে চলে ঝড়ও। মনোরম পরিবেশ পেয়ে রোদ আটকানোর ছাতা সরিয়ে রেখে ভিজতে দেখা গেল আম আদমিকে।
[জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার ফল প্রকাশ, প্রথম বিড়লা হাই স্কুলের দেবাদিত্য]
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা বৃষ্টি পেলেও, কলকাতার জন্য অবশ্য সুখবর নেই। দুপুরের দিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। রোদ্দুর কিছুটা কমলেও মহানগরে গুমোট ভাব এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে মেঘের দেখা মিললেও বৃষ্টির মতো পরিস্থিতি হয়নি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বিহার এবং উত্তর প্রদেশ লাগোয়া এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবে এ রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
[পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দিতে চেয়েছিল ইউপিএ সরকার, ফাঁস রিপোর্ট]