নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: নিজেদের স্বনির্ভর করে তুলতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তমলুকের নিমতৌড়ি প্রতিবন্ধী হোমের আবাসিকরা। বিগত বছরগুলির মতো এবছরই তাঁদের হাতের তৈরি রাখিতে অভিনব ভাবেই উঠে এল নানান সরকারি প্রকল্পের প্রচার। পাট, সুতোর তৈরি সুদৃশ্য কারুকার্যের রাখিগুলির উপর বসনো হচ্ছে কন্যাশ্রী, নির্মল বাংলা, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের লোগো। ফলে এবছরও যে তাঁদের হাতের তৈরি রাখি বাজারে নজর কাড়বে আমজনতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সে বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী হোম কর্তৃপক্ষ।
[চুরুলিয়ার দুরাবস্থায় দুঃখ পেয়েছিলেন বাজপেয়ী, স্মৃতিচারণায় নজরুল অ্যাকাডেমির সদস্যরা]
তমলুকে নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির হোমে মোট আবাসিক সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক। বরাবরই রাখি তৈরিতে অভিনবত্বের ছাপ রাখেন এই হোমের আবাসিকরা। এমনকী স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে কর্মমুখী করতে আয়োজন করা হয়েছে টেলারিং, রাখি, পাটের তৈরি নানা কারুকার্জ তৈরি সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সামনে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। চলতি বছরে প্রায় ১২ হাজার পাটের রাখি প্রস্তুতের কাজও চলছে জোরকদমে। হোমে গিয়ে দেখা যায় চূড়ান্ত ব্যস্ত পম্পা, কুহেলি, শীতলা, মালাদের মতো মানসিক ও মূক-বধির প্রতিবন্ধীরা।
শুকনো পাটকে বিভিন্ন রঙে ডুবিয়ে ফের শুকনো করা হয়। এরপর চিরুনি, কাঁচি দিয়ে কাগজ কেটে চলছে রকমারি রাখি তৈরির কাজ। আঠা দিয়ে রাখির উপর লাগানো হচ্ছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সরকারি লোগোগুলি। প্রতি রাখি পিছু ১ টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকা দামও ধার্য করা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের রাখি তৈরির প্রশিক্ষক কণিকা অধিকারী জানান, “প্রতিবন্ধীদের হাতের তৈরি পাটের রাখির অর্ডারও এসেছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি সুদূর বাঁকুড়া থেকেও।” হোমের সম্পাদক যোগেশ সামন্ত বলেন, “হোমের প্রতিবন্ধীদের স্বনির্ভর করে তুলতে সব সময়ই আমরা প্রেরণা দিয়ে থাকি। বর্তমানে অনেকটাই সাড়া মিলেছে।”
[প্রাণঘাতী হামলা অতীত, মৃত্যুকে হার মানিয়ে ফের ডিউটিতে শ্যামপুর থানার ওসি]