নন্দন দত্ত, বীরভূম: সরকারি হাসপাতালের মর্গে চরম অব্যবস্থা। মৃতদেহের চোখে খুবলে নিল ইঁদুর! যার জেরে দেহ নিতে অস্বীকার করল মৃতের পরিবার। ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে। রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের সুপারও ঘটনার দায় মেনে নিয়েছেন।
[বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা, ৫ জনের মৃত্যু]
মৃতের নাম অভিমানী মণ্ডল। ছাব্বিশ বছরের ওই যুবতী বিবাহিতা। তাঁর শ্বশুরবাড়ি মল্লারপুরের দারুনী গ্রামে। বুধবার সন্ধ্যায় পারিবারিক অশান্তির কারণে শ্বশুরবাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন অভিমানী। পোস্টমর্টেমের জন্য দেহটি রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছিল মল্লারপুর থানার পুলিশ। হাসপাতালে মর্গেই মৃতদেহে ময়নাতদন্ত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে অভিমানীর মৃতদেহ নিতে হাসপাতালে যান মৃতার পরিবারের লোকেরা। তখনই দেখা যায়, ওই তরুণীর ডান চোখটি খুবলে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার ক্ষোভের ফেটে পড়েন মৃতার পরিজনেরা। মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন তারা।
[প্রসবের পর পায়ুছিদ্র সেলাই! চিকিৎসকের ভুলে প্রাণসংশয় মহিলার]
কিন্তু, কীভাবে এমন ঘটল? সম্ভবত মর্গে মৃতদেহের ডান চোখটি ইঁদুর খুবলে নিয়েছে বলে মনে করছেন হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের সুপার সুবোধ সরকারের বক্তব্য, পরিকাঠামোর অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের পরিবারের যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, তাহলে কমিটি গড়ে ঘটনার তদন্ত হবে। প্রসঙ্গত, বুধবার এই রামপুরহাট জেলা হাসপাতালেই প্রসবের পর, এক মহিলা পায়ুছিদ্র সেলাই করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। যার জেরে মৃত্যু হয় প্রসূতির। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এই ঘটনা ওই হাসপাতালের অব্যবস্থা আরও একবার সামনে আনল।
ছবি: সুশান্ত পাল
[শীতে দিঘায় পিকনিকে যাচ্ছেন, এই নতুন নিয়মটি জানেন তো?]