নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলি: পনেরো বছরের নাবালিকার সঙ্গে প্রেম সতেরো বছরের কিশোরের। পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে সালিশি সভায় ডেকে কিশোরকে মারধর। সভাশেষে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই কিশোর। গভীর রাতে রেললাইনের ধার থেকে রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হল তার ক্ষতবিক্ষত দেহ। এই ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল চুঁচুড়া স্টেশনের ধারে মৌলিপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় রিজওয়ানুর কাণ্ডের ছায়া দেখছেন অনেকেই। ২০০৭ সালে ঠিক এভাবেই দমদমে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল ত্রিশ বছরের যুবক রিজওয়ানুর রহমানের দেহ। তাঁর মৃত্যুর রহস্যের পিছনেও প্রণয়ঘটিত কারণ নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য।
[প্রকাশিত হল নিটের ফল, রাজ্যে সেরা তমোঘ্ন]
বৃহস্পতিবার রাতেও ঠিক একইভাবে উদ্ধার হওয়া মৃত কিশোরের নাম শ্রীবাস মণ্ডল (১৭)। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সালিশি সভায় যারা শ্রীবাসকে মারধর করেছিল, তাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এলাকার মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে এলাকায়। পাড়ারই এক ১৫ বছরের নাবালিকার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শ্রীবাসের। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে তীব্র গন্ডগোল বাধে। যার রেশ গড়ায় সালিশি সভা পর্যন্ত। এ বিষয়ে মীমাংসা করতে বৃহস্পতিবার গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। দু’পক্ষকেই উপস্থিত থাকতে বলা হয়। ডাকা হয় পঞ্চায়েত সদস্য বর্ণালী রায়কেও। কিন্তু সালিশি সভার মাঝেই আচমকা স্থানীয় কয়েকজন যুবক শ্রীবাসের উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করে। প্রতিবাদ জানান বর্ণালীদেবী। তিনি বলেন, যদি মারধরই করতে হয়, তা হলে তাঁকে কেন ডাকা হল। এর পর ওই যুবকরা শান্ত হয়। পরিস্থিতি তখনকার মতো নিয়ন্ত্রণে আসে। বিষয়টি মিটমাট হলে দু’পক্ষই বাড়ি চলে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা থেকেই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় শ্রীবাস। গভীর রাতে রেললাইনের ধার থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।