চলছে কাজ।
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: গঙ্গাসাগরে ইতিমধ্যেই পুণ্যস্নান সেরেছেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা। তাঁদের ফেলে যাওয়া বর্জ্য পদার্থ দিয়েই এলাকার রাস্তা তৈরি করবে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা! পাশাপাশি, সাগর চত্বরে জমা হওয়া আবর্জনা পুনর্ব্যবহার করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেই জন্যে কর্মশালারও আয়োজন করেছে ওই সংস্থা।
সাগরের কপিলমুনির আশ্রম প্রাঙ্গনে ৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। চলতি বছর ইতিমধ্যেই ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। মকর সংক্রান্তির স্নান উপলক্ষে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের পর সবথেকে বড় মেলা গঙ্গাসাগর মেলা। পূর্ণলাভের আশায় দেশের নানান প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ জড়ো হন এই সাগরে। এত মানুষের সমাগমে সাগর চত্বরে প্রচুর আবর্জনা জমে যায়। এবার সেই পদার্থ কাজে লাগানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মেলা শেষের পর ভক্তদের ফেলে যাওয়া কাচের বোতল, কাপড়, অন্যান্য জিনিস সৈকত থেকে সংগ্রহ করে রাস্তা তৈরির পাশাপাশি, প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিস বানানোর চেষ্টা চলছে। নামখানা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ৮টি ইউনিটে এই কর্মযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। কাজ করছেন ২০০ কর্মী।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য অনিতা মাইতি বালার কথায়, “গঙ্গাসাগরের ভিড় জমিয়েছে তীর্থযাত্রীরা। তাঁদের ফেলা যাওয়া বর্জ্য নিয়ে আমাদের এই মহান কর্মযজ্ঞ। গঙ্গাসাগরে বিভিন্ন রাস্তা তৈরি ক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীদের ফেলে দেওয়া বর্জ্য ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, জৈব সার তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মহান কর্মযজ্ঞে ২০০র বেশি কর্মী কর্মরত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.