Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিনেদুপুরে ব্যাংক ডাকাতি উত্তরপাড়ায়, ১৮ লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা

দুষ্কৃতীদের ধরতে হুগলি জেলার সর্বত্র চলছে নাকা চেকিং।

Robbers looted 18 lakhs from Unnion Bank og India Uttarpara branch
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 5, 2020 6:20 pm
  • Updated:June 5, 2020 6:30 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দিনেদুপুরে উত্তরপাড়ায় ব্যাংক লুট করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার বেলা ২টো ৫০মিনিট নাগাদ রাজেন্দ্র এভিনিউয়ের ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার উত্তরপাড়া শাখায় তিন দুষ্কৃতী লুটপাট চালায়। দুষ্কৃতীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। অনুমান ব্যাংক থেকে ১৮ লক্ষেরও বেশি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাদের ধরতে গোটা হুগলি জেলায় নাকা চেকিং চালাচ্ছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, দুপুরে তিন দুষ্কৃতী একটি লাল মোটরবাইকে করে ব্যাংকে আসে। এদিন ব্যাংকে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। ফলে ব্যাংকে ঢুকতে কোনওরকম বাধা পায়নি দুষ্কৃতীরা। ঢুকেই ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে টাকা লুট করে তারা। ক্যাশে যে ব্যাংককর্মী ছিলেন, তাঁকে গানপয়েন্টে রেখে লুট করা হয় ক্যাশবাক্স। ওই দুষ্কৃতী কালো প্যান্ট ও জলপাই রঙের জামা পরেছিল। কাঁধে ছিল গামছা। সবারই মুখ রুমালে ঢাকা ছিল। ওই তিন দুষ্কৃতীর মধ্যে দু’জন বাঙালি ও একজন হিন্দিভাষী যুবক। টাকা লুট করার পর ব্যাংক কর্মীদের ভল্টে ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর ব্যাংককর্মীদের হুমকি দিয়ে বাইক নিয়ে চম্পট দেয়।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে খাবার খুঁজছে গজরাজ! ঝাড়গ্রামের রাস্তায় দাঁতালের কাণ্ডে তটস্থ বাসিন্দারা ]

চম্পট দেওয়ার সময় উত্তরপাড়া স্টেশনের কাছে কাঁঠালবাগান বাজারে দুষ্কৃীতের কাছ থেকে একটি নোটের বান্ডিল রাস্তায় পড়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে পুলিশ খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ব্যাংককর্মীদের। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই গোটা এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। ডানকুনি পর্যন্ত মোতায়েন করা হয় পুলিশ। হুগলি জেলার সর্বত্র নাকা চেকিং চলছে। প্রতিটি রাস্তা ও হাইওয়েতে পুলিশ গাড়ি ও বাইকের তল্লাশি নিচ্ছে। সূত্রের খবর, ব্যাংক থেকে দুষ্কৃতীরা ১৮ লক্ষেরও বেশি টাকা লুট করেছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শুক্রবার ব্যাংকে ম্যানেজার ছিলেন না। অন্য একজনের উপর ব্যাংকের কাজকর্ম সামলানোর দায়িত্ব ছিল। এমনকী নিরাপত্তারক্ষীও ছিল না। এই খবর দুষ্কৃতীদের কাছে ছিল বলেন অনুমান করছেন অনেকে। এছাড়া ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ যতটা স্পষ্ট হওয়া দরকার, ফুটেজ চেক করার সময় দেখা যায়, তা ততটা স্পষ্ট নয়। সব মিলিয়ে ঘটনাটি নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, যেহেতু জেলাজুড়ে নাকা চেকিং চলছে, তাই দুষ্কৃতীরা বেশিদূর যেতে পারবে না খুব শীঘ্র তাদের ধরে ফেলা সম্ভব হবে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বাসে চাপলেই মিলছে উপহার, যাত্রী টানতে অভিনব উদ্যোগ বর্ধমানে ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ