Advertisement
Advertisement

Breaking News

Role of administration is questioned after disaster at Malbazar

প্রশাসনিক গাফিলতিতেই বিপদ? মাল নদীতে হড়পা বানে প্রাণহানির ঘটনায় প্রশ্নের ভিড়

মাত্র ১৪ দিন আগে মাল নদীতে হড়পা বানে ভেসে গিয়েছিল একটি ট্রাক।

Role of administration is questioned after disaster at Malbazar । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 6, 2022 9:57 am
  • Updated:October 6, 2022 4:39 pm

অরূপ বসাক, মালবাজার: মাত্র ১৪ দিন আগেই ঘটেছিল বিপদ। মাল নদীতে হড়পা বানে ভেসে গিয়েছিল আস্ত ট্রাক। তারপর থেকে লাগাতার বৃষ্টি চলছে। ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে উঠছিল মাল নদী। তা সত্ত্বেও প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় তেমন কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা প্রশাসন নেয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রশাসন আর একটু সজাগ হলে হড়পা বানে ৮ জনের প্রাণহানির ঘটনা রোখা সম্ভব হত বলেই মনে করছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরাও।

মাল নদীতে দশমীতে কমপক্ষে ৬৫-৭০টি প্রতিমা নিরঞ্জনের কথা ছিল। বহু মানুষ ভিড় করতে পারেন, সে পূর্বাভাস ছিল। তা সত্ত্বেও মাত্র ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন বলেই খবর। তাঁদের দাবি, রাত আটটার পর থেকেই নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছিল। তা নদীঘাটে মোতায়েন পুলিশকর্মীদের জানিয়েছিলেন। যাঁরা নদীতে নামছেন, তাঁদের সরে আসার কথা বলার ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তবে তা সত্ত্বেও আগাম কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই দাবি সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের। তারপরই ঘটে যায় অঘটন। হড়পা বানে নিমেষে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায় চতুর্দিক। জলের তোড়ে ভেসে যান বহু মানুষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কমলেশ্বর বিতর্ক অতীত! দশমীতে সিপিএমের বইয়ের স্টলে হাজির তৃণমূল সাংসদ]

উদ্ধারকাজের প্রসঙ্গেও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তাঁরা জানান, মাল নদীর নিরঞ্জন ঘাটের নৌকা ছিল না। এমনকী অ্যাম্বুল্যান্সের বন্দোবস্তও ছিল না। বিপদের সময় সম্বল শুধুই দড়ি। তাই বাধ্য হয়ে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দড়ির সাহায্যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কয়েকজনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে তলিয়ে গিয়েছেন অনেকে। এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৮ জনের। সার্চ লাইটের অভাব এবং লাগাতার বৃষ্টির ফলে উদ্ধারকাজ বেগ পায়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পর থেকে ফের উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।

Advertisement

এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হড়পা বানের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে কেন কোনও আগাম প্রস্তুতি নেয়নি প্রশাসন? হাজার হাজার মানুষের জমায়েত যেখানে হওয়ার কথা সেখানে কেন মাত্র ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন? কেন নদীঘাটের আশেপাশে অ্যাম্বুল্যান্সের বন্দোবস্ত ছিল না? প্রশাসনের কাছে এমনই নানা প্রশ্ন মৃত ও আহতদের পরিবারের লোকজনের। প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা আর একটু সজাগ হলে এমন ভয়াবহ বিপর্যয়কে সামাল দেওয়া সম্ভব হত বলেই মত তাঁদের।

[আরও পড়ুন: পুজোতেই ঘুরল ভাগ্যের চাকা! দুপুরে লটারির টিকিট কেটে রাতেই কোটিপতি চাপড়ার যুবক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ