সুনীপা চক্রবর্তী: জঙ্গলে বসানো ক্যামেরায় তার ছবি ধরা পড়েছে। কিন্তু, ছাগলের টোপ দিয়েও এখন বাঘকে খাঁচাবন্দি করতে পারেনি বন দপ্তর। এদিকে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে লালগড়ের আশেপাশের এলাকায়। শালবনির পর এখন দক্ষিণরায়ের আতঙ্কে কাঁপছে ধেড়ুয়া। বন দপ্তর জানিয়েছে, লালগড়ের জঙ্গল থেকে বাঘটি সম্ভবত চাপড়া রেঞ্জের দিকে সরে গিয়েছে। রবিবার রাতে ধেড়ুয়ায় একটি গরুকে বাঘ তাড়া করেছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে ধেড়ুয়া পৌঁছে গিয়েছেন বন দপ্তরের কর্মীরা। এদিকে আবার লালগড় লাগোয়া জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে ১৫ থেকে ২০টি হাতি। জানা গিয়েছে, হাতি থাকার কারণে গভীর জঙ্গলে ঢুকে বাঘের সন্ধান চালাতে পারছেন না বন দপ্তরের কর্মীরা। সবমিলিয়ে হাত ও বাঘের দাপটে নাস্তানাবুদ বন দপ্তর।
[লালগড়ে এবার ঢুকল হাতি, বাঘের আতঙ্ক ছড়াল শালবনিতেও]
গত এক মাস ধরে বড় বড় পায়ের ছাপ ও গবাদি পশুর মৃত্যু তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল। শেষপর্যন্ত, শনিবার লালগড়ের মধুপুরের কাছে মেলখেড়িয়ার জঙ্গলে যে বাঘ ঢুকেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হন বন দপ্তরের আধিকারিকরা। জঙ্গলে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়ে দক্ষিণরায়ের ছবি। বাঘটিকে উদ্ধার করতে তৎপরতা শুরু হয়। মেলখেড়িয়ার জঙ্গলে ছাগলের ছোপ দিয়ে পাতা হয় খাঁচা। কিন্তু, গত ২ দিনেও ধরা যায়নি দক্ষিণরায়কে। তাহলে বাঘটি গেল কোথায়? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এদিকে বনকর্মীদের সঙ্গে বাঘের লুকোচুরি খেলায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। শালবনির পর এবার ঘুম উড়িয়েছে ধেড়ুয়ার বাসিন্দারা। শোনা যাচ্ছে, রবিবার রাতে নাকি ধেড়ুয়ায় একটি গরুকে তাড়া করেছিল বাঘটি। এমন খবর যে তাঁরা পেয়েছেন, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা। তিনি জানিয়েছেন, লালগড়ে জঙ্গল ছেডে় এখন বাঘটি সম্ভবত চাঁদরা রেঞ্জের দিকে চলে গিয়েছে। এই চাঁদরা রেঞ্জের মধ্যেই পড়ে ধেড়ুয়া। বাঘটি সেখানেই আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সোমবার সকালে ধেড়ুয়ার পৌঁছে গিয়েছেন বন দপ্তরের কর্মীরা। এদিকে আবার লালগড়ে হাতির উপদ্রবও অব্যাহত। লালগড় লাগোয়া জঙ্গলে এখন প্রায় ১৫ থেকে ২০টি হাতি রয়েছে। স্থানীয় একটি আইসিডিএস সেন্টারের গেট ভেঙেছে হাতির দল। জানা গিয়েছে, হাতির জন্য জঙ্গলে ঢুকে বাঘের সন্ধান চালাতে পারছেন না বনকর্মীরা। তাই দিন যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে আতঙ্ক। হাতি ও বাঘের দাপটে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। বিপাকে বনকর্মীরাও।
[খাঁড়িতে লুকিয়ে বিপদ, সুন্দরবনে বাঘের হানায় বেঘোরে মৃত্যু মৎস্যজীবীর