Advertisement
Advertisement

পাহাড় ঢেকেছে মদের বোতলে, সান্দাকফু সাফাইয়ে গিয়ে হতাশ অভিযাত্রীরা

উদ্ধার ৩২২৫ কিলোগ্রাম জঞ্জাল৷

Sandakphu clean campaign
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 11, 2018 6:40 pm
  • Updated:November 11, 2018 6:53 pm

সংগ্রাম সিংহ রায়, শিলিগুড়ি: কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের প্রচারে পাহাড় সাফাই করতে গিয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু অতিপ্রিয় পাহাড়ের অবস্থা দেখে কার্যত হতাশ হয়েই ফিরলেন এগারো জনের অভিযাত্রী দল৷ রাজ্য কথা দেশের শোভা বৃদ্ধি করছে যে হিমালয়, যাকে দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন, সেই পাহাড়ের কঙ্কালসার রূপ বেরিয়ে এসেছে এই এগারো জনের সামনে৷ সান্দাকফু পরিষ্কার করতে গিয়ে কিলো কিলো মদের বোতল সংগ্রহ করে এনেছেন তাঁরা৷ পাহাড়ের এই রূপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা৷ বলছেন, এর গভীর প্রভাব পড়তে পারে বাস্তুতন্ত্রে।

[পণের দাবিতে বধূকে খুনের অভিযোগ বাগদায়, গ্রেপ্তার শাশুড়ি]

Advertisement

রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা ওএনজিসির সহায়তায় স্বচ্ছ ভারত অভিযানের প্রচারে পাহাড়ে গিয়েছিল ইন্ডিয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ফাউন্ডেশন সংগঠনের একটি দল৷ দলে ছিলেন মোট এগারো জন৷ নেতৃত্বে ছিলেন এভারেস্টজয়ী দেবরাজ দত্ত৷ চলতি মাসের ৬ নভেম্বর চারদিনের জন্য পাহাড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা৷ গৌরীবাস, সান্দাকফু, শবরগ্রাম, মোলে, ফালুট, চিত্রের মতো পাহাড়ের ১৪টি এলাকায় যায় দলটি এবং ওই এলাকাগুলি পরিষ্কার করেন তাঁরা৷ সেখানে থেকে সংগ্রহ করেন বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ৷ যা জমা হয় শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভ্যাটে৷ কিন্তু এই সাফাই অভিযানে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ অভিযাত্রীদের দলটির৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পাহাড়ের বুকে যে এত জঞ্জাল জমে থাকতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা৷

Advertisement

[বিসর্জনের ডিউটিতে গিয়ে আক্রান্ত দুই সিভিক ভলান্টিয়ার]

জানা গিয়েছে, পাহাড় থেকে মোট ২৪৮ ব্যাগ বর্জ্য উদ্ধার করেছে দলটি৷ যার ওজন হয়েছে ৩২২৫ কিলোগ্রাম৷ এরমধ্যে কেবলমাত্র ৫২ ব্যাগ বর্জ্য উদ্ধার হয়েছে সান্দাকফু থেকেই৷ জঞ্জালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্ধার হয়েছে খালি মদের বোতল, প্লাস্টিকের জলের বোতল ও গুটখার প্যাকেট৷ ফলে সান্দাকফুর মতো একটি মনোরম পর্যটনস্থলের এমন অবস্থা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিযাত্রীরা৷ এই বিষয়ে গভীর আক্ষেপ প্রকাশ করেন দলের নেতৃত্বে থাকা দেবরাজ দত্ত৷ এই ভাবে চলতে থাকলে একদিন পাহাড়ের ইকো সিস্টেম ধ্বংস হয়ে যাবে বলে জানান তিনি৷ পাশাপাশি, আকর্ষণীয় টুরিস্ট স্পট হওয়া সত্ত্বেও পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে শৌচালয় না থাকারও নিন্দা করেন তাঁরা৷ পাহাড়ের পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য অনুরোধ করেন পাহাড়ের দায়িত্বে থাকা জিটিএ-কে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ