প্রতীকী ছবি
রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: দিন দুই আগে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রেমিক। সেই খবর পেয়ে আর স্থির থাকতে পারেনি কিশোরী। প্রবল মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে দুটো দিন কাটিয়েছে। কিন্তু প্রেমিকহীন জীবনে অর্থ বোধহয় ফুরিয়েছিল তার কাছে। আর তাই নিজের জীবন শেষ করার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল নদিয়ার বেতাইয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ঘর ফাঁকা থাকার সুযোগে বুধবার গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে সে আত্মঘাতী হয়েছে। অন্তত এমনই অনুমান পরিবারের। ঘটনায় শোকের ছায়া বেতাইয়ের উত্তর জিতপুর তাবুপাড়া গ্রামে। কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
গত রবিবার রাতে সরস্বতী ঠাকুর দেখে বাইকে চড়ে ফিরছিল নদিয়ার কাঁঠালিয়া এলাকার চার পড়ুয়া। সকলেরই বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। সেসময় ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। করিমপুর থানার কানাইখালি এলাকায় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রথমে একটি লরি, তারপর বন্ধ থাকা দোকানের শাটারে ধাক্কা মারে বাইকটি। গুরুতর আহত চারজনকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকি দুজনকে অন্যত্র নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। মৃত্যু হয় তাদেরও।
এই চারজনের মধ্যে একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দশম শ্রেণির পূজা রায়ের। পূজা মা পায়েল ও দুই ভাইবোনের সঙ্গে বেতাইয়ের উত্তর জিতপুর তাবুপাড়ায় থাকে। বেতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, থাকেন দেশের বাইরে। সোমবার প্রেমিকের মৃত্যু সংবাদ পেয়েই সে একেবারে ভেঙে পড়েছিল। বাড়ির কেউ সামলাতে পারছিল না। এরপর বুধবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে পরিবারের দাবি। বাড়ি ফিরে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। খবর পাঠানো হয় তেহট্ট থানায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে কিশোরী। তবে বাড়ি থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.