Advertisement
Advertisement

২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের বিস্ফোরণে কাঁপল পাহাড়

সুখিয়াপোখরির পর এবার পেশক সেতুতে।

Second blast in 24 hours rocks Bengal's Hill district

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 25, 2017 3:51 am
  • Updated:October 3, 2019 5:24 pm

সঞ্জীব মন্ডল: ২৪ ঘন্টা না কাটতেই ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাহাড়। বৃহস্পতিবার গভীর রাত দেড়টা নাগাদ পেশক নদীর উপর পেশক সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটে। তিস্তা বাজার হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রুট পেশক। পুলিশ সূত্রে খবর, সেতুটি ধ্বংসের উদ্দেশ্য ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। তবে লোহার সেতুটি অক্ষত রয়েছে, এবং বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। উল্লেখ্য, বুধবার রাত একটা নাগাদ নেপাল সীমান্ত লাগোয়া সুখিয়াপোখরি থানার বাইরে জোরাল বিস্ফোরণ হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

[আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি গুরুংয়ের, সুর নরম মোর্চা সুপ্রিমোর]

Advertisement

স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে সেতুটির কোনও ক্ষতি হয়নি। যান চলাচলে কোনও সমস্যা হবে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন এদিন গভীর রাতে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তাঁরা। তারপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশবাহিনী। ইতিমধ্যে ঘটনারটির তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নাশকতা ঘটাতে কোন ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, এদিন রাতেই পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় পেডং সমষ্টির যুব মোর্চার সভাপতি পালদেন ভুটিয়াকে।

Advertisement

[গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে ‘ফাটল’, রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে জিএনএলএফ]

সাম্প্রতিক ঘটনায় পাহাড়ে জঙ্গি আন্দোলনের প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে নিরাপত্তামহলে। এর আগে, দার্জিলিংয়ের সুপার মার্কেট ও কালিম্পংয়ে থানায় বিস্ফোরণ ঘটে। কালিম্পং থানা লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গ্রেনেড। এছাড়া বিস্ফোরণ হয় কালিম্পং থানা লাগোয়া মেলা গ্রাউন্ডে। নিহত হন রাকেশ রাউত নামে এক সিভিক পুলিশকর্মী। আহত হন ছেন্দুপ ভুটিয়া নামে এক হোমগার্ড এবং এসএসবির এক জওয়ান। দার্জিলিংয়ের বিস্ফোরণের ঘটনায় মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। কে বা করা এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছে তা স্পস্ট ময়। প্রশাসনের কোনও মহলের মতে, এতে নেপালের মাওবাদী কিংবা অন্য বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে৷ কারও সন্দেহ, এ আদতে মোর্চার অন্তর্দ্বন্দ্বের জের৷ পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে, পাহাড়ের আরও কোথাও এ জাতীয় বিস্ফোরক মজুত রয়েছে কি না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ