শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: লাটাগুড়িতে সেলফির ফাঁদে বেঘোরে মৃত্যু। যার থেকে শিক্ষা নিয়ে অতি উৎসাহীদের আটকাতে জঙ্গলপথে নিষিদ্ধ হল সেলফি। জাতীয় সড়কে যানবাহন এবং যাত্রীদের উপর নজর রাখতে পুলিশের সঙ্গে যৌথ টহলের সিদ্ধান্ত নিল বন দপ্তর।
[শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে আরও এক রয়্যাল বেঙ্গল]
সতর্কতা হিসাবে লাটাগুড়ি-গরুমারার ১০ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে টহলদারি শুরু করেছেন বনকর্মীরা। এই পথেই গত বৃহস্পতিবার হাতির সামনে যাওয়ায় প্রাণ হারান বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী সিদ্দিক হুসেন। সিদ্দিকের মৃত্যু নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “কেউ যদি যেচে নিজের মৃত্যু নিজে ডেকে আনে তার দায়িত্ব নিশ্চয় বন দপ্তরের নয়।” গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী জানান, জঙ্গল পথে যেভাবে ঘটনাটি ঘটেছে নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা নয়। একই কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনও। তবুও বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছেন তারা। একই সঙ্গে গরুমারার এই জঙ্গল পথে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে নজরদারি আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। বিনয়বাবুর সংযোজন, গরুমারার এই জঙ্গল পথে সেলফি নিষিদ্ধ করা আছে। তবুও কিছু অতি উৎসাহী মানুষ ছবি তুলতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন। বন্যপ্রাণী দেখলেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা। জঙ্গল পথে এই নিষেধাজ্ঞা মানলে সেদিন মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না বলে মনে করেন তিনি।
[গরুর গলায় থলে ঝুলিয়েই সীমান্তে চলে অস্ত্র পাচার]
লাটাগুড়ির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জঙ্গল পথে আরও জোরদার করা হচ্ছে নজরদারি। দশ কিলোমিটার পথ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টহল দেবেন বনকর্মীরা। রাস্তায় কোনও গাড়ি থামতে দেওয়া হবে না। গাড়ি থেকে নেমে ছবি তোলা এবং সেলফি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একাজে পুলিশকেও সঙ্গে নিচ্ছে বন দপ্তরের কর্মীরা। জঙ্গল পথে আইন ভাঙলে কড়া শাস্তির কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রী।