সুব্রত বিশ্বাস: সুপার সাইক্লোন আমফানের আতঙ্কে বড়সড় প্রস্তুতি নিতে শুরু করল রেল। উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে চলা শ্রমিক ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় শুরু হিয়েছে বৃষ্টি। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফান।
[আরও পড়ুন: লকডাউন শেষের আগেই শুরু হতে পারে বিমান পরিষেবা! ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
ঝড়ের মধ্যে ট্রেন চলাচল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খড়গপুরের ডিআরএম বলেন, বুধবার থেকে কোনও শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ওই ডিভিশনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে মালগাড়ির চলাচল বন্ধ রাখা হবে। পাশাপাশি প্রতি মুহূর্তে জলস্তর ও ঝড়ের গতিমুখের দিকে নজর রাখা হয়েছে। নদী ব্রিজগুলির উপর সর্বদা নজর রেখেছে কর্মীরা। রিলিফ ট্রেন রাখা রয়েছে বিপদের আশঙ্কা থাকে স্টেশনগুলিতে। সমস্ত টাওয়ার ভ্যান কর্মী সমেত লাইনে নামানো হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, ট্রেনের বগিগুলিয়েক লাইনের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।
হাওড়ার ডি আর এম ইশাক খান বলেন, সাইক্লোনে সবচেয়ে ভয়াবহ গাছ পড়ে ওভেরহেড তার ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করে লাইনে ধস নামাতে পারে। ডিভিশনের এগারোটি টাওয়ার ভ্যান বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। এডিআরএমকে মনিটরিং করতে কন্ট্রোলে রাখা হয়েছে। হাওড়া, বর্ধমান ও রামপুরহাট ব্রেক ভ্যান রাখা হয়েছে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা উপকূলবর্তী শাখা হওয়ায় টাওয়ার ভ্যান সেদিকে বেশি সংখ্যায় রাখা হয়েছে। লাইনে পেট্রোলিং চলছে। সোনারপুর, হাওড়া, বিভিন্ন ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা কোচগুলির চাকায় বেড়ি পরানো হয়েছে। ইশাক খান বলেন, রি সিস্টেমকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের একদিনে করোনা সংক্রমণে রেকর্ড বৃদ্ধি! চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজার পেরল]
উল্লেখ্য, সুপার সাইক্লোন আমফান যে কোনও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে আলাদা। এক চরিত্রও অন্যান্য সাইক্লোনের চেয়ে পৃথক। আমফানের প্রভাবে শুধু তুমুল ঝড়বৃষ্টিই হবে, তা নয়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে দিনভর। বজ্রপাত সাধারণ অন্যান্য সাইক্লোনের সময় বিশেষ দেখা যায় না। সেদিক থেকে আমফানের সঙ্গে একযোগে অনেক কিছুই। আর এই বৈশিষ্ট্যই আমফানের ভয়াবহতা বাড়িয়ে তুলছে।