Advertisement
Advertisement

Breaking News

হাওড়ার শালিমারে বসে শ্রীনু খুনের ছক ‘শিষ্য’র

শ্রীনু নায়ডু খুনের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে ফেলল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ৷

Shrinu Naidu's murder plan was hatched by aide
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 13, 2017 3:50 pm
  • Updated:January 13, 2017 3:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শিষ্য’ শংকর রাওয়ের সঙ্গে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে লড়াই করতে গিয়ে খতম হয়ে গেল খড়গপুরের শ্রীনু নায়ডু৷ বহুজাতিক সিমেন্ট কারখানার জমির বরাত নিয়ে শংকরের সঙ্গে শ্রীনিবাস নায়ডুর লড়াই চরমে পৌঁছয়৷ কারণ বহু কোটি টাকার ওই জমি কম দামে ম্যানেজ করে দেওয়ার বরাত পেয়েছিল শ্রীনু৷ তা মানতে পারেনি শংকর৷ কমিশন চেয়েছিল সে৷ সর্বোপরি এলাকা দখলে খড়গপুরে কোণঠাসা হয়ে থাকা শংকর, ঝাড়খণ্ডের সুপারি কিলারদের সাহায্য নিয়েই ছক কষে নিখুঁত অপারেশনে ‘গুরু’ শ্রীনুকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দিল৷

অথচ শংকর দীর্ঘদিন ধরে শ্রীনুর সঙ্গেই ব্যবসা এবং সমস্ত কাজকর্মে যুক্ত ছিল৷ হাওড়ার শালিমারে বসে খুনের ছক কষার পাশাপাশি ঘটনার দিনও একই ডেরায় আত্মগোপন করেছিল শংকর৷ খুনে জড়িত ৭ জনকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ৷ জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন, “শংকরকে জেরা করে আরও বেশ কয়েকজনের নাম জানা গিয়েছে৷ তাদেরও গ্রেফতার করা হবে৷” গোটা ঘটনার পিছনে ‘অনেক বড় মাথা’ রয়েছে বলেও পুলিশ সুপার এদিন মেদিনীপুরের সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন৷ কিন্তু সেই ‘মাথা’ কে বা কারা তা এখনই খোলসা করে বলতে রাজি হননি তিনি৷ তবে, সুপারি কিলারদের পাশাপাশি নিজের ঘনিষ্ঠরাই যে এভাবে শ্রীনুকে খতম করে দেবে, তা ভাবতে পারেনি খড়গপুর৷ শুক্রবার আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃত সাতজনকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে৷

Advertisement

(আজও মানুষকে আলোর পথ দেখায় স্বামীজির এই আদর্শগুলি)

শ্রীনু নায়ডু খুনের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে ফেলল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ৷ শ্রীনুকে খুন করতে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলিতে জখম শংকর বাহিনীর এক সদস্য৷ সে ঘাটালে চিকিৎসা করাতে যেতেই পুলিশ এই খুনের কিনারার সূত্র পেতে থাকে৷ সেই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে, বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে গ্রেফতার করা হয় শংকর বাহিনীর সদস্যদের৷ তাদের জেরা করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়, শংকরের সঙ্গে শক্রুতার জেরেই খুন হতে হয়েছে শ্রীনু ও তার বডিগার্ড ধর্মাকে৷ শংকরের অতিরিক্ত টাকার লোভ এবং এলাকা দখলের আকাঙ্ক্ষাই ‘গুরু’ শ্রীনুকে খতমে উৎসাহ দিয়েছিল৷ শ্রীনুর শেষকৃত্য ঘিরে গোটা খড়গপুর থমথমে৷ বড় মাপের অশান্তি হতে পারে আশঙ্কা করে নজিরবিহীন নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে রেলশহর খড়গপুর৷

Advertisement

(৭২ হাজার স্কুল শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য)

শ্রীনুকে খতম করতে একটি নতুন টাটা সুমো কেনা হয়েছিল বলে এদিন পুলিশ সুপার জানিয়েছেন৷ খড়গপুরের একটি নির্দিষ্ট ডিলারের কাছ থেকে ৯৩ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে গাড়িটি কিনেছিল শংকররা৷ খুনের দিন মোট এগারো জন এসেছিল অপারেশন করতে৷ এর মধ্যে ছ’জন ছিল ঝাড়খণ্ডের সুপারি কিলার৷ খুনের আগে রীতিমতো রেইকি করেছিল শংকর বাহিনী৷ শ্রীনুর আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠকে নজরে রাখছেন তদন্তকারীরা৷

(২১ টাকায় মাছ-ভাতের আস্বাদ দেবে রাজ্য সরকারের ‘একুশে অন্নপূর্ণা’)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ