Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্কুলের যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বাসের চাকায় পিষ্ট দিদি ও ভাই

চালক ও খালাসিকে বেধড়ক মার স্থানীয়দের।

Sibling crashed to death on their way to school in Nadia
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:October 30, 2018 3:55 pm
  • Updated:October 30, 2018 7:07 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: একজন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আর একজন প্রথম শ্রেণিতে। মঙ্গবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ভাই ও বোনের। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় নদিয়ার পলাশিপাড়ায়। ঘাতক গাড়ির চালক, খালাসি-সহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আক্রান্তদের উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে আবার করিমপুর থেকে তেহট্ট যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকান ও স্কুলের দেওয়ালে ধাক্কা মারল অ্যাম্বুলেন্স। ঘটনায় আহত ৬ জন।

[ টিউশন থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় বকুনি, কীটনাশক খেল ২ বোন]

Advertisement

নদিয়ার পলাশিপাড়ার পুলসুন্ডার বারুইপাড়ায় থাকে সোহানা খাতুন ও জাহির শেখ। সম্পর্কে ভাই-বোন। পুলসুন্ডা আদর্শ বিদ্যাপীঠের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সোহানা। ওই স্কুলেই পড়ে জাহিরও। সে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ সাইকেলে চেপে স্কুলে যাচ্ছিল দিদি ও ভাই। তারা দু’জন যখন পুলসুন্ডা হাই স্কুলের কাছে পৌঁছয়, তখন একটি বাসকে ক্রেনের সাহায্যে মেরামতির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আচমকাই সাইকেল সমেত সেই বাসের নিচে ঢুকে যায় সোহানা ও জাহির। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দু’জনের। চোখের সামনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা দেখে ধের্য্যের বাঁধ ভাঙে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘাতক ক্রেনটির চালক, খালাসি-সহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পলাশিপাড়া থানার পুলিশ। কোনওমতে আক্রান্তদের উদ্ধার করা হয়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ। ক্রেন ও বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটেছে তেহট্টের বেতাই বাজারেও। করিমপুরের দিক থেকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে তেহট্টের দিকে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অ্যাম্বুলেন্সে কোনও রোগী ছিল না। করিমপুর-কৃষ্ণনগর রোডে বেতাই বাজার এলাকায় নিয়্ন্ত্রণ হারান অ্যাম্বুলেন্স চালক। একটি দোকান, স্কুলের দেওয়াল ও একটি ভ্যানে ধাক্কা মারে অ্যাম্বুলেন্সটি। আহত হন ৬ জন। আহতদের প্রথম নিয়ে যাওয়া হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। পরে দু’জনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। এদিকে সাতসকালে এই দুর্ঘটনার কারণে সাময়িক যানজট তৈরি হয় করিমপুর-কৃষ্ণনগর রোডে। রোগী না থাকা সত্ত্বেও কেন অ্যাম্বুলেন্সটি এত জোরে যাচ্ছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

[জলের অভাবে নষ্ট ফসল, আউশগ্রামে ঋণের দায়ে আত্মঘাতী কৃষক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ