সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: ‘এ রাজ্যে জমি, বালি খাদান, পাথর খাদান, কয়লা-সহ সমস্ত মাফিয়াচক্রের স্রষ্টা তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায় এড়াতে পারেন না।’ শিলিগুড়িতে বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। শাসকদলের প্রাক্তন এই নেতার দাবি, নিজেদের কাজের মূল্য চোকাতে হবে তৃণমূলকে।
[বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, গ্রেপ্তার কয়েক হাজার কর্মী]
আগামী ১১ অগাস্ট কলকাতা বিজেপি যুব মোর্চার সমাবেশ। সমাবেশের প্রধান অতিথি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এই সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। প্রচারের ফাঁকে দলের দার্জিলিং জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকও করেন তিনি। বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী, অন্যতম জেলা সম্পাদক গনেশ দেবনাথ-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। মুকুল রায়ের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছিল শাসকদল। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনগুলি আর তেমনটা হবে না। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ রাজ্যে কমপক্ষে ২২টি আসনে জিতবেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা।
[ঝাড়খণ্ড থেকে জঙ্গলমহলে মাওবাদী আনছে বিজেপি, বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর]
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তো বটেই, এ রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। একই সুর শোনা গেল মুকুল রায়ের গলায়। একসময় শাসকদলের ‘নাম্বার টু’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। দল বদলে এখন বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন মুকুল। তাঁর অভিযোগ রাজ্যে সমস্ত রকমের মাফিয়া চক্র শুরু হয়েছে তৃণমূল শাসনেই। জমি, বালি খাদান, পাথর খাদান, কয়লা-সহ সমস্ত মাফিয়াচক্রের স্রষ্টা তৃণমূল কংগ্রেস। এর জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন তাঁর একসময়ের বিশ্বস্ত সেনাপতি। মুকুল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিন্ডিকেট দৌরাত্মের দায় এড়াতে পারেন না।’ এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জি নিয়েও শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন মুকুল রায়।
[ দিলীপের পর নিজের জেলায় আক্রান্ত সুজন, ইট-বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ