সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : টাকায় অনেক কিছুই বিকোয়। তা বলে নরকঙ্কাল, তাও হাজার হাজার টাকায়! পূর্বস্থলীর পরপর দু’টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। ঘটনায় তিন মহিলা-সহ চারজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ১৮টি নরকঙ্কাল। ধৃতদের জেরা করেই পুলিশ জানতে পেরেছে, বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই হাড়গোড় বিক্রির চক্র বেশ সক্রিয়। তবে চক্রের দুই পাণ্ডা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।
[অভাবের সংসার তবু কুড়িয়ে পাওয়া লক্ষ টাকা ফেরালেন যুবতী]
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পূর্বস্থলীর নন্দ কলোনিতে রবিবার রাতে অভিযান চালায় কালনা মহকুমা থানার পুলিশ। স্থানীয় মনোজ পাল ও তাপস পালের বাড়িতে চলে তল্লাশি। সেখান থেকেই নরকঙ্কালগুলি উদ্ধার হয়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে মনোজ ও তাপস গা-ঢাকা দেয়৷ তবে রক্ষা মেলেনি তাপসের মা যমুনা পাল, স্ত্রী রাখি পাল, দিদি মিঠু দে ও এক কর্মচারী নকুল চৌধুরি। হাতেনাতে ধরা পড়ে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে ধৃতরা স্বীকার করেছে, দীর্ঘদিন ধরেই তারা মরা মানুষের খুলি, হাড়গোড় কলকাতায় বিক্রি করে। পুলিশ দু’টি বাড়িই ‘সিল’ করে দিয়েছে৷
[বড় একা লাগে! এবার ভাড়ায় মিলছে নাতি-নাতনি]
সাত বছর আগে পূর্বস্থলীরই যুক্তেশ্বরপুর থেকে পুলিশ ২০টি নরকঙ্কাল উদ্ধার করেছিল৷ সেগুলি বিক্রি করত মুক্তি বিশ্বাস নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা৷ কয়েক মাস আগে সে মারা যায়৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার কাছেই এ কাজে হাতেখড়ি মনোজ ও তাপসের৷ মুক্তি বিশ্বাসের মৃত্যুর পর মনোজ-তাপসরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা শুরু করে৷ তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নাকাশিপাড়ার নকুল৷ তার কাজ ছিল, মৃতদেহ সংগ্রহ করে তাপসকে পাঠানো। ভাগীরথীর পাড়ে নাকাশিপাড়ার বলাডাঙা ঘাটে চলত সংগ্রহের কাজ। এরপর কিছুদূরে দেবনগর ঘাটে মাটির নিচে মৃতদেহ জমিয়ে রাখার ‘চেম্বার’-এ চলত প্রসেসিং। এ ঘাটে আবার মনোজই শেষ কথা। এখান থেকে ড্রেসিং করে হাড়গোড় নিয়ে যাওয়া হত নন্দ কলোনিতে। এ কথা নকুলই পুলিশকে জানিয়েছে।
ছবি : মোহন সাহা
[মহুয়া মৈত্রকে ‘কটূক্তি’, আদালতে তিরস্কৃত বাবুল সুপ্রিয়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.