Advertisement
Advertisement
Haringhata

শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার জামাইয়ের দেহ, দাম্পত্য অশান্তিতে খুন নাকি আত্মহত্যা?

বিবাদের কারণে সন্তানদের নিয়ে বাপেরবাড়িতেই থাকতেন স্ত্রী।

Son-in-law's body found at in-laws' house in Haringhata

প্রতীকী ছবি।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:June 16, 2025 1:45 pm
  • Updated:June 16, 2025 1:45 pm  

সুবীর দাস, কল্যাণী: শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া গেল জামাইয়ের মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হরিণঘাটা ব্লকের মোল্লাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসদিয়া দাসপাড়া এলাকায়। মৃতের নাম শুভেন্দু সাহা (৩৩)। তিনি হাওড়া দাসনগর এলাকার বাসিন্দা। ‘খুন’ নাকি অন্য কিছু তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হরিণঘাটা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। সেজন্য হাওড়ার বাড়ি ছেড়ে তাঁর স্ত্রী হরিণঘাটায় নিজের বাপেরবাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকছিলেন। স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার জন্য মাঝেমধ্যে শুভেন্দু সাহা শ্বশুরবাড়ি যেতেন বলে খবর। রবিবার তিনি শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। রাতে পরিবারের সকলের সঙ্গেই খাওয়াদাওয়া করে সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন বলে খবর। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে তাঁকে ঘরে দেখা যায়নি। পরে সিঁড়ির ঘরে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। বাড়ির লোকজনই দেহ নামিতে প্রথমে থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিতে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভেন্দু সাহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

যে ব্যক্তি আগের রাতে সম্পূর্ণ ঠিক ছিলেন, তিনি কেন ‘আত্মহত্যা’ করবেন? শ্বশুরবাড়ি গেলেও তিনি রাতে থাকতেন না। তাহলে গতকাল কেন থাকলেন? তাহলে কি তাঁকে ‘খুন’ করা হল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement