স্টাফ রিপোর্টার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বয়স নব্বই ছুঁয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। ভাল করে চলতে পারেন না। চোখেও দেখতে পান না। নিজের প্রয়োজনীয় কাজটুকুও করতে পারেন না তিনি। প্রতিটি পদক্ষেপে দিন কাটে অন্যের সাহায্য নিয়ে। এহেন এক বৃদ্ধাকে কোমরে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ছেলে আর তার বউ মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
[কলকাতায় বড় কিডনি পাচার চক্রের খোঁজ, গোয়েন্দাদের জালে ৪]
ঘটনাস্থল রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কোদালিয়া চলপাড়া এলাকা। অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ওই মহিলার নাম মিনা দাস। তাঁর একমাত্র ছেলে খোকন দাস সোনারপুর বিএলআরও-তে চাকরি করেন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, অশক্ত মিনাদেবীকে ছেলে ও তার স্ত্রী রাস্তায় বের করে বেঁধে দেয় গাছের সঙ্গে। উদ্ধার হওয়ার সময় মহিলার দেহে ছিল সামান্য এক টুকরো কাপড়। না ছিল কোনও শীতবস্ত্র। একটি প্লস্টিকের উপর বসে ছিলেন বৃদ্ধা। সারাদিন পর সোমবার বিকেল নাগাদ তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
[প্রকাশিত হল SSC-র একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্যানেল]
স্থানীয় মানুষের থেকে খবর পেয়ে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস সেখানে যান এবং উদ্ধার করেন বৃদ্ধাকে। এরপর তাঁকে পৌঁছে দেন নিজের বাড়িতে। মিনাদেবীর বউমা মিতাদেবী বলেন, শাশুড়ি নিজেই একা একা বাইরে চলে যান। আমরা সকালেও খেতে দিয়েছি। মিনাদেবীকে উদ্ধার করার পর পুরসভা চেয়ারম্যান বলেন, ফের এই ঘটনা ঘটলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তবে যে বৃদ্ধা চলতে পারেন না ভালভাবে, তিনি কি করে রাস্তায় গেলেন, তাঁর কোমরে দড়িই বা কে বাঁধল, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বউমা মিনাদেবী।
[ডেঙ্গুতে আক্রান্ত স্নেহাশিসের অবস্থার আরও অবনতি, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.