Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদি, জনসভা

পাখির চোখ বাংলা, নির্বাচনী আবহে দক্ষিণবঙ্গে দশটির বেশি জনসভা মোদির

মোদি হওয়াকে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর গেরুয়া শিবির৷

Star campaigner PM modi to hold massive campaign in South Bengal
Published by: Tanujit Das
  • Posted:April 6, 2019 9:01 am
  • Updated:May 11, 2019 3:07 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গেই দশটির বেশি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে, যতটা সম্ভব বেশি জনসভা প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে করিয়ে দলের পালে হাওয়া তুলতে। তাই দলের তরফে নতুন করে সভার তালিকা পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সময় চাওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে, মোদিকে ঘিরে যে উন্মাদনা সেটাকে ভোট বাক্সে প্রতিফলিত করতে।

[ আরও পড়ুন: ভোটের মুখে রদবদল, সরানো হল কলকাতা এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে  ]

Advertisement

ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি ও ব্রিগেডের সভা দিয়ে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ৭ এপ্রিল কোচবিহারে তাঁর সভা রয়েছে। তবে ১০ এপ্রিল বালুরঘাটের সভা অনিশ্চিত। সূত্রের খবর, ১২ এপ্রিলের পর আবার বালুরঘাট কিংবা মালদহে আসতে পারেন মোদি। সেই সভার পরই উত্তরবঙ্গের প্রচার শেষ করবেন তিনি। কারণ, উত্তরবঙ্গে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রই মূল টার্গেট বিজেপির। একমাস আগেই জলপাইগুড়িতে মোদি সভা করে গিয়েছেন। তাই এবার শিলিগুড়িতে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার কোচবিহারে আসছেন। তারপরই তাঁর লক্ষ্য দক্ষিণবঙ্গ। শিলিগুড়ি ও ব্রিগেডের সভায় জনসমাগম ও সমর্থকদের উৎসাহ দেখে রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছেন, রাজ্যে ভোট প্রচারে আরও বেশি করে প্রধানমন্ত্রীকে দরকার। মোদি ঝড়কে কাজে লাগিয়েই দক্ষিণবঙ্গে দলের ভোট ব্যাংক বাড়াতে তৎপর গেরুয়া শিবির। মোদির মুখকে সামনে রেখে দক্ষিণবঙ্গ থেকে আরও বেশ কিছু আসন ঝুলিতে ভরতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: যোধপুর পার্কে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় জড়িত পরিচিতরাই, দাবি পুলিশের ]

এবিষয়ে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘দক্ষিণবঙ্গে যতটা সম্ভব বেশি জনসভা প্রধানমন্ত্রী করবেন। সেটারই চেষ্টা হচ্ছে।’’ দলীয় সূত্রে খবর, যে দশটি কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সভা করানোর কথা ভাবা হচ্ছে সেগুলি হল, বাঁকুড়া, আসানসোল, বীরভূম, হুগলি, হাওড়া, দমদম, কলকাতা দক্ষিণ, কৃষ্ণনগর, মেদিনীপুর অথবা ঝাড়গ্রাম এবং বসিরহাট। আসানসোলে দলের প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এই আসনটি বিজেপির দখলেই রয়েছে। এক রাজ্য নেতার কথায়, আসানসোল, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, কৃষ্ণনগর, দমদম, বীরভূম বিজেপির অত্যন্ত পজিটিভ সিট। মেদিনীপুরে প্রার্থী খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দমদমে প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। কাজেই এইসব কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীই সভা করুন, এমনটাই চাইছেন জেলা নেতৃত্ব। লোকসভার যুদ্ধ জয়ের কৌশল হিসাবে বাংলার মাটিতেও বিজেপির সেরা বাজি মোদি-অমিত শাহর যুগলবন্দি, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই মোদির পাশাপাশি অমিত শাহও গোটা দশেক সভা করবেন এরাজ্যে। আসবেন যোগী আদিত্যনাথও। সূত্রের খবর, শাহ সভা করতে পারেন রানাঘাট, বোলপুর, বনগাঁ, বারাকপুর, উলুবেড়িয়া, ঘাটাল, বিষ্ণুপুর, কলকাতা উত্তর এবং ডায়মন্ডহারবারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ