Advertisement
Advertisement

মেসবাড়িতে হুল্লোড়, মেধাবী ছাত্রকে পিটিয়ে মারল এলাকাবাসী

মৃত ছাত্রের নাম রিজওয়ানুর রহাম (২২)৷

 Student is killed by neibour for making noise
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 22, 2016 2:44 pm
  • Updated:June 22, 2016 2:47 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা: মেসবাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচির জেরে এক মেধাবী ছাত্রকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল জিয়াগঞ্জ থানার তিলিপাড়ার চার বাসিন্দার বিরুদ্ধে৷ মৃত ছাত্রের নাম রিজওয়ানুর রহাম (২২)৷ মঙ্গলবার বিকালে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ একটি মেসবাড়ির পিছন থেকে হাত-পা ভাঙা ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে৷ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷
ডোমকল থানার পুরাতন বিডিও অফিস মোড়ের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক রহমতুল্লাহ বিশ্বাসের বড় ছেলে রিজওয়ানুর জিয়াগঞ্জের শ্রীপত্‍ সিং কলেজের মাইক্রেবায়োলজির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল৷ পড়াশোনার সুবিধার জন্য কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে সে জিয়াগঞ্জের তিলিপাড়ায় মডার্ন মেসে থাকত৷ মেস থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ আসত বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ৷ এ নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে তাঁদের কয়েকবার বচসাও হয়৷ অভিযোগ, সোমবারেও রাতে একইরকম আওয়াজ মেসবাড়ি থেকে আসতে থাকে৷ তখন রাত ১২টা নাগাদ একই পরিবারের তিন ভাই দিব্যেন্দু, মহাদেব ও অরূপ দাস এবং প্রতিবেশী বাপি দত্ত মেসবাড়িতে ঢুকে আবাসিকদের উপর চড়াও হয়৷ মারের ভয়ে অধিকাংশ ছাত্রই পালিয়ে যায়৷ সামনে পড়ে যান রিজওয়ানুর৷ তাকে বেদম প্রহার করা হয়৷ ভেঙে ফেলা হয় তার হাত-পা৷ মারের চোটে প্রাণ হারায় মেধাবী ছাত্রটি৷ তখন তার দেহ মেসবাড়ি ও পাশের বাড়ির মাঝের এক অন্ধকার গলিতে ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্তরা৷
মঙ্গলবার সকালে মেসবাড়ির মালিক শীতল রায় রিজওয়ানুর বাবাকে জানান, তাঁর ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ খবর পেয়ে বাবা রহমতুল্লাহ সাহেব জিয়াগঞ্জে চলে আসেন৷ পুলিশের দ্বারস্থ হন৷ পরে বেলার দিকে মেসবাড়ির পিছনে অন্ধকার গলির থেকে রিজওয়ানুরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ লালবাগের এসডিপিও টি এ আজাহার বলেন, “কীভাবে এই ছাত্র খুন হল, তা বলা যাচ্ছে না৷ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে৷” কলেজের অধ্যক্ষ সামসুজ্জোহা আহমেদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবার৷ এদিন ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি৷ জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভম পাল এই খুনের ঘটনার নিন্দা করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন৷
পরিবারের বড় ছেলেকে হারিয়ে মা রিঞ্জু বিশ্বাস বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন৷ প্রতিবেশী মোসলেসা বিবি বলেন, “রিজওয়ানুর শুধু মেধাবী ছিল না, সত্‍ ও মানবিক ছিল৷ সেই ছেলের এই পরিণতি মেনে নেওয়া যায় না৷”

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ