বিপ্লব দত্ত, নদিয়া: ফের ঘাতক সেলফি। যার ফাঁদে তরুণ প্রজন্ম। নিট ফল বেঘোরে মৃত্যু। কল্যাণী স্টেশনের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেল রাকেশ ত্রিগুনা নামে এক ছাত্রের। গুরুতর আহত হয়েছে তাঁর এক সঙ্গীও।
[সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই ছাত্রীকে ঝাড়ফুঁক গুনিনের!]
রাকেশের বাড়ি বিহারে। চিকিৎসা করাতে বাবাকে নিয়ে সে কল্যাণীতে এসেছিল। কল্যাণীর আনন্দনগরে বাড়ি ভাড়া করে থাকত রাকেশ। মঙ্গলবার সকালে এলাকার বাসিন্দা সূরজ মণ্ডলকে নিয়ে সে কল্যাণী স্টেশন লাগোয়া ৪২ নম্বর রেলগেটের কাছে পৌঁছে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনকে পিছনে রেখে ভাল ছবি তোলার লোভে দুজন ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে। সকাল সোওয়া সাতটা নাগাদ ডাউন লাইন দিয়ে তখন আসছিল শিয়ালদহগামী কৃষ্ণনগর লোকাল। ভাল ছবির টানে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে দুজন। ট্রেন দ্রুত গতিতে এগিয়ে এলেও তাদের হুঁশ ছিল না। ট্রেনের ধাক্কায় রাকেশ এবং সূরজ ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় পলিটেকনিকের ছাত্র রাকেশ ত্রিগুণার। কল্যাণী শিক্ষায়তন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সূরজকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে তারও।
[উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু বোমা দিচ্ছে পাকিস্তান, বিস্ফোরক সুষমা]
রাকেশদের বন্ধুরা জানিয়েছে, এদিন সকালে মহালয়ে উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে বাজি পোড়ানো হচ্ছিল। সেই সময় তারাও ছিল। এর ফাঁকে কখন রাকেশ এবং সূরজ রেললাইনের দিকে চলে যায় তা তারা টের পায়নি। নিজের জীবন বিপন্ন করে দুজনের এমন কাণ্ডে হতবাক তাদের পরিচিতরা। সেলফির ফাঁদে পড় রাকেশ এবং সূরজের এই পরিনতিতে উৎসবের আনন্দ আনন্দনগর থেকে অনেকটাই উধাও হয়ে গিয়েছে।