Advertisement
Advertisement
Sukanta Majumdar

চাপের মুখে নতি স্বীকার! শিখ সম্প্রদায়কে অপমানের জন্য ক্ষমা চাইলেন সুকান্ত

এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

Sukanta Majumdar apologizes for insulting Sikh community
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:June 17, 2025 3:32 pm
  • Updated:June 17, 2025 5:32 pm  

রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: চাপের মুখে নতি স্বীকার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। ঘরে ও বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে শিখ নিরাপত্তারক্ষীর পাগড়িতে হাওয়াই চপ্পলের কাটআউট ছোঁড়ার ঘটনা ক্ষমা চাইলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পুলিশের উদ্দেশ্যে ছোঁড়া একটি প্ল্যাকার্ড দুর্ঘটনাবশত আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক শিখ ধর্মাবলম্বী সিআইএসএফ কর্মীর পবিত্র পাগড়ির উপর পড়ে। এই অনিচ্ছাকৃত ঘটনায় যদি কোনও শিখ ভাই বা বোনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে,  তাঁদের কাছে আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

Advertisement

শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পাগড়ি অত্যন্ত পবিত্র। সেই পাগড়িতে হাওয়াই চপ্পলের কাটআউট ছুঁড়ে মারার পর প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। সুকান্তের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে শিখ সংগঠন। ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেয় তাঁরা। রাজনৈতিক বিতর্ক তো ছিলই। এছাড়াও বিভিন্ন মহলের চাপে পড়ছিলেন সুকান্ত। সূত্রের খবর, শীর্ষ নেতৃত্বও বিষয়টিকে ভালো ভাবে নেয়নি। গতকাল সোমবার রাতে এই নিয়ে দিল্লির নেতাদের সঙ্গে কথা হয় সুকান্তর। সেই সময় তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় নেতৃত্ব। তারপরই ঘর ও বাইরের প্রবল চাপে নতি স্বীকার করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আজ, মঙ্গলবার তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ক্ষমা চান। তিনি লেখেন, ‘১২ জুন, কলকাতার কালীঘাটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের সামনে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সময়, কলকাতা পুলিশ আমাকে-সহ বিজেপির অন্যান্য রাজ্য নেতৃবৃন্দ ও কার্য্যকর্তাদের আটক করে বলপূর্বক প্রিজন ভ্যানে তোলে। সেই সময় উত্তেজনার মুহূর্তে, পুলিশের উদ্দেশ্যে ছোঁড়া একটি প্ল্যাকার্ড দুর্ঘটনাবশত আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক শিখ ধর্মাবলম্বী সিআইএসএফ কর্মীর পবিত্র পাগড়ির উপর পড়ে। এই অনিচ্ছাকৃত ঘটনায় যদি কোনও শিখ ভাই বা বোনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, তবে আমি তাঁদের কাছে আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

তাঁর এই ক্ষমা চাওয়া আরও একটি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। অনেকে বলছেন, তিনি সিআইএসএফ কর্মীর পবিত্র পাগড়ির দিকে ছুঁড়তে চাননি ঠিকই কিন্তু পুলিশের দিকে ছুঁড়েছেন। সেটা ওঁর পোস্টেই পরিষ্কার। এখানেই প্রশ্ন পুলিশের দিকে হাওয়াই চপ্পলের কাটআউট ছোঁড়া যায়? তা কি পুলিশের উর্দির অসম্মান নয়?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement