জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: প্রকৃতি রুষ্ট হয়েছে, তাই বিশ্বে জাঁকিয়ে বসেছে মারণ ভাইরাস। মুক্তির একমাত্র পথ প্রকৃতিকে শান্ত করা। সেই বিশ্বাস থেকেই করমপুজোয় (Karam Puja) মাতলেন সুন্দরবনের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
করোনা (Coronavirus) আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা বাংলা। হু হু করে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। সুন্দরবনের (Sundarban) আদিবাসী সম্প্রদায়ের কথায়, প্রকৃতি রুষ্ট হয়েছে। সেই কারণেই এই ভয়ংকর পরিস্থিতি। শত চেষ্টাতেও বাগে আনা যাচ্ছে না মারণ ভাইরাসকে। তাঁদের বিশ্বাস, পুজো-অর্চনার মধ্যে দিয়েই রোখা যাবে করোনাকে। সেই কারণেই শনিবার করমপুজোয় মাতলেন সুন্দরবনের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। রাতভর গাছকে পুজো করেন তাঁরা। পাশাপাশি, ধামসা-মাদলের তালে মেতে ওঠেন। এদিনের অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছিলেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, অশ্বিনী মাহাতো, মধুসূদন মাহাতো-সহ বিশিষ্টজনেরা। নাচে-গানে মেতে ওঠেন তাঁরাও।
[আরও পড়ুন:শিকেয় সামাজিক দূরত্ববিধি, হাজার সমর্থক নিয়ে অর্জুন সিংয়ের মিছিল আটকাল পুলিশ]
সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রকৃতি বাঁচাতে প্রাচীনকাল থেকেই করমপুজো করছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। সেখানে করম গাছকে ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো করা হয়। প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় লুচি, তেলের পিঠে, শশা। ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, “গাছ লাগাতে হবে প্রচুর পরিমাণে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত শহর ও শহরতলিতে প্রচুর ম্যানগ্রোভ লাগানোর। তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। না হলে আগামীদিনে আরও বড় মহামারীর কবলে পড়তে হবে মানুষকে।” উল্লেখ্য, শুধু আদিবাসী নন, করম-সহ বেশ কয়েকটি সম্প্রদায়ের মানুষ বহু আগে থেকেই করম পুজো করে আসছেন।