ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: ‘পাহাড়ে অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচন করে মানুষের রায় নিন।’ শিলিগুড়ি সমাবেশ থেকে পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করলেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বললেন, ‘বামেরা ৫ বছর অন্তর ভোট করিয়েছে। শিলিগুড়িকেই পথ দেখাতে হবে। সব জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পাহাড় হাসছে। পাহাড় যে কাঁদে সেটাও দেখুন। পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকুন। শিলিগুড়ির প্রত্যেকটা নির্বাচনে হেরেছে। বিজেপির অবস্থাও একই। আরএসএসের কথায় চলে। বড়বড় কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘এখানে পঞ্চায়েত পুরসভা পাহাড় নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান কি? পাহাড়ে পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য কোনওরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নেপালি ভাষাকে তো আমরাই স্বীকৃতি দিয়েছি। কিছু মানুষ শুধু বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন।’ যদিও সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্যকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব।
[শিক্ষকরাই সাফাইকর্মী! স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ]
এদিকে রবিবার দার্জিলিংয়ে বিমলের সুপরিচিত গড় তাকভরে সদলবলে হানা দিলেন বিনয় তামাং। সদ্যই রাজধানীতে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরংকে। এরপরই এদিন স্থানীয় সিংলা এলাকায় মিছিল করে তামাং বাহিনী। জামুনেতে জনসভা করে রবিবার গুরুংকে একহাত নেন বিনয়। বলেন, ‘এতদিন জঙ্গলে বসেছিল। এখন দিল্লিতে রয়েছে। মানুষ গুরুংকে ভুলে গিয়েছে। জিটিএ পাহাড়ে উন্নয়েনর কাজ করছে। বিজেপিও প্রত্যেকটা নির্বাচনে হেরেছে।’ ২৮ জানুয়ারি পাহাড়ে জনসভার ডাক দিয়েছে জিএনএলএফ। ঠিক পরেরদিনই শিলিগুড়ির সুকনায় জনসভা করবেন বিনয় তামাং। গুরুং যাতে পাহাড়ে ফিরতে না পারে তারই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে বিনয় শিবির।
সবমিলিয়ে পাহাড় আজ ফের সরগরম। আজই আগুন লেগে প্রায় ভষ্মীভূত হয়ে গেল মংপুর হেরিটেজ বাংলো। সকাল ১১টা নাগাদ আগুন লাগে মংপুর কিঞ্চোনা হেরিটেজ বাংলোয়। এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। একটা সময় এই বাংলোয় থাকতেন কিঞ্চোনার ডিরেক্টর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কেউই বাংলোটিতে বসবাস করেন না। একজন নৈশপ্রহরী রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলেও দিনে কোনও প্রহরী নেই। তাই সকালে আগুন লাগার সময় কেউই ঘটনাস্থলে ছিল না। আগুনে বাংলোটির প্রায় ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চিঞ্চোনার ডিরেক্টর ও পুলিশ। শট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান।