নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ফের মহাপুরুষের মূর্তির অবমাননা। এবার বীরভূম। বিবেকানন্দের মূর্তি বিকৃতিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো বীরভূমের মহম্মদবাজারে। অভিযোগ, স্বামী বিবেকাননন্দের ধ্যানস্থ মূর্তির নাক, কান চোখ, মুখ বিকৃত করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে মূর্তির গেরুয়া রং ঘষে ঘষে তুলে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক সংগঠন। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের মহম্মদবাজারের রাসপুরে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ
জানা গিয়েছে, মূর্তি বিকৃতির ঘটনা ঘটেছে দু’দিন আগে। বিষয়টি চাউর হতেই প্রশাসনের নজরে আসে। রাসপুরে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের একটি অফিস রয়েছে। সেই অফিস চত্বরেই বিবেকানন্দের ধ্যানস্থ মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত। ২০১৫-তে এলাকার তৎকালীন বিডিও সুমন বিশ্বাসের উদ্যোগে মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিককালে মহম্মদবাজার-সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিজেপির প্রাধান্য বেড়েছে। এর জেরেই এই মূর্তির বিকৃতির ঘটনা ঘটেছে কিনা তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক]
এদিকে বিবেকানন্দের মূর্তি বিকৃতির ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বিবেকানন্দের মূর্তি বিকৃতির মাধ্যমে এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক।’ এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘এই ঘটনা আসলে জাতীয় অবমাননা। এর পিছনে দুষ্কৃতীদের কোনও অভিসন্ধি রয়েছে।’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এই ঘচনায় পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। যত শিগগির সম্ভব তদন্ত শুরু করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ জেলার পুলিশ সুপার কুনাল আগরওয়াল জানান, বিবেকানন্দের মূর্তি বিকৃতির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে মূর্তি বিকৃতিতে কোনও রাজনৈতিক দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেনি। তবে ঘটনার জেরে এলাকার পরিবেশ থমথমে।