সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিশোরী পরিচারিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে ফাঁসির সাজা শোনাল তমলুক আদালত। প্রায় ৬ বছরের পুরনো এই মামলা। গতকালই আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল অভিযুক্ত প্রণব রায়কে। আজ রায় ঘোষণায় ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত।
[ গঙ্গায় ভেসে এল লাশ, ‘জাদু আংটির’ জটেই কি লুকিয়ে মৃত্যরহস্য? ]
গোটা দেশে যখন একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তখন প্রায় বেনজির সিদ্ধান্ত রাজ্যের। ২০১২ সালে প্রকাশ্যে এসেছিল এই ধর্ষণের ঘটনা। এক নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল শিক্ষক প্রণব রায়ের বিরুদ্ধে। কিশোরী ওই শিক্ষকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত। তার অসহায়তার সুযোগ নিয়েই ওই শিক্ষক লালসা চরিতার্থ করে। তারপর খুন করা হয় তাকে। তবে অপরাধ চাপা থাকেনি। কিশোরীর অভিভাবকরা তমলুক আদালতে মামলা দায়ের করে। গত ছয় বছর ধরে চলছে এই মামলা। তবে একদিনের জন্যও কোনওরকম সহানুভূতি পাননি ওই শিক্ষক। যতবার মামলার শুনানি হয়েছে, ততবারই আদালতের বাইরে মহিলারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেছেন। আইনজীবীরাও ওই অভিযুক্তের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ রাজি হননি। দীর্ঘদিনের চলা মামলায় শুনানি শেষে বুধবারই প্রণয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে। আজ ছিল রায় ঘোষণার পালা। প্রত্যাশামতোই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিল তমলুক আদালত। শোনানো হল ফাঁসির সাজা। আদালতের রায়ে খুশি বিক্ষোভকারী মহিলারা। এতদিনে নির্যাতিতার প্রতি সুবিচার হল বলেই মনে করছেন তাঁরা।
[ ২ সপ্তাহ সহবাসের পর হবু স্ত্রীকে হাওড়ায় ফেলে চম্পট যুবকের ]
কাঠুয়া থেকে উন্নাও- গোটা দেশই যেন বারেবারে ধর্ষিত হচ্ছে। চারিদিকে বিক্ষোভ আন্দোলন। তবু নির্ভয়া থেকে কাঠুয়ার মধ্যে পরিস্থিতি তেমন কিছু বদলায়নি। এর মধ্যে নাবালিকাদের ধর্ষণকারীদের জন্য ফাঁসির সাজা দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। পকসো আইনে বদল আনারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এ সবের মধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ রাজ্যের। সরাসরি ফাঁসির সাজাই দেওয়া হল ধর্ষণকারীকে।