বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: ফের রাজ্যে ট্যারান্টুলা আতঙ্ক। এবার আতঙ্ক ছড়াল নদিয়ার শান্তিপুর থানার বয়রা এলাকায়। একটি বিরল প্রজাতির মাকড়সাকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মাকড়শাটির গায়ের রং কালো। আকারে সাধারণ মাকড়সা থেকে একটু বড়। দশটা পা। যা দেখে অনেকের ধারণা, সম্ভবত এটি ট্যারান্টুলা। ওই মাকড়সা দেখে তাই মানুষের মনে ট্যারান্টুলা নিয়ে আতঙ্ক ফের তৈরি হয়েছে। শনিবার সকালে ওই এলাকার একজন তাঁর বাড়িতে ওই ধরনের একটি মাকড়সা দেখতে পায়। এরপর সেই মাকড়শাটিকে নিয়ে আসা হয় ফুলিয়ার বাসিন্দা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রিক্তা কুণ্ডুর বাড়িতে। রিক্তা কুণ্ডু জানিয়েছেন, “এই ধরনের দেখতে মাকড়সা সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। দেখতে কিছুটা ট্যারান্টুলার মতোই। তবে আদৌ ওইটি ট্যারেন্টুলা কি না, তা জানার জন্য খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরের লোকজনকে। আমরা জানতে চাইছি, ওটি আদৌ ট্যারান্টুলা কি না। এখনও তা জানা সম্ভব হয়নি। যদি ট্যারান্টুলা হয়, তাহলে ওই এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হবে।”
[ একাধিক থানার মেল হ্যাক করে তথ্য পাচার, বাদুড়িয়ায় গ্রেপ্তার এক যুবক ]
এই মাকড়শাটির সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই মাকড়সাটির প্রায় ৯০০টি প্রজাতি রয়েছে৷ প্রধানত আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ায় বাস এই প্রাণীটির৷ তবে ভারতেও এর দেখা মিলেছে৷ যদিও এমন বিপুল হারে পশ্চিমবঙ্গে এই মাকড়সার বৃদ্ধি রীতিমতো গবেষণা করার বিষয়৷
মায় দুয়েক আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ট্যারান্টুলা মাকড়শা পাওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল। গতমাসে ট্যারান্টুলা গোত্রের মাকড়সা উদ্ধার হয়েছিল পুরুলিয়ার বোরো ও রঘুনাথপুর বনাঞ্চল থেকে। বোরো,বান্দোয়ান, মানবাজার, পুঞ্চা, বলরামপুরের পর রঘুনাথপুর বনাঞ্চলে ওই ট্যারান্টুলা গোত্রের মাকড়সা উদ্ধার হওয়ায় গোটা জেলা জুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। সৌমেন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ওই মাকড়সা উদ্ধার হয়। তারপর তারাই ওই মাকড়সাটিকে কৌটো বন্দি করে শুক্রবার বনদপ্তরের হাতে তুলে দেয়।
[ মাত্র ৫ টাকা ভিজিটে রোগী দেখেন কালনার চিকিৎসক গৌরাঙ্গ গোস্বামী ]
তার আগে দুর্গাপুরে ছড়িয়েছিল ট্যারাটুলা আতঙ্ক। নাড়ুগোপাল মণ্ডলের বাড়ি থেকে একটি রোমশ মাকড়সা উদ্ধার হয়। খবর যায় বনদপ্তরে। খবর পেয়ে স্থানীয় বনদপ্তরের কর্মীরা মাকড়সাটিকে নিয়ে যান।