সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি ডি বিড়লায় একরত্তির উপর অত্যাচারে শিউরে উঠেছে গোটা বাংলা। শিক্ষকের এমন আচরণে সর্বত্র ক্ষোভের বিস্ফোরণ। মহানগর থেকে কিছুটা দূরে এমনই এক শিক্ষকরূপী ‘রাক্ষসের’ পাল্লায় পড়েছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। মেয়েটি খানিকটা ভারসাম্যহীন। এই সুযোগে দিনের পর দিন চলতে থাকে যৌন হেনস্তা। ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার নদিয়ার হাঁসখালি।
[বিভাগীয় প্রধানের ‘কুপ্রস্তাব’, আতঙ্কে কলেজে আসা বন্ধ করলেন ছাত্রী]
নির্যাতিতার বাড়ি হাঁসখালি থানার গাঁড়াপোতা এলাকায়। অভিযুক্ত প্রণয় রায় ছাত্রীর এক আত্মীয়কে পড়াত। সেই সুযোগে প্রণয় তাকে টিফিনের সময়ে স্কুলের পাশে এক নির্মীয়মান বাড়িতে রোজ নিয়ে যেত। একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে চলত কুকর্ম। যৌন লালসা মিটিয়েও সে শান্ত হত না। মেয়েটির গায়ে সিগারেটের ছেঁকা দিত। তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা কিছুদিন আগে খেয়াল করে টিফিনের সময় সে থাকে না। গত বৃহস্পতিবার সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে গিয়ে ছাত্রীটির সহপাঠীরা ওই শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তারপর মেয়েটির বাড়িতে তার বন্ধুরা গোটা ঘটনা জানায়। প্রথমে ছাত্রীর ওই অবস্থা বাড়ির লোকজন না বুঝলেও বন্ধুদের অভিযোগে তাদের চোখ খুলে যায়। শুক্রবার নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। মেডিক্যাল রিপোর্টে যৌন হেনস্থার প্রমাণ মেলে। এরপর হাঁসখালি থানায় প্রণয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু তার আগে প্রণয় ও তার পরিবার বেপাত্তা হয়ে যায়।
[জি ডি বিড়লার ছায়া রায়গঞ্জে, ৩ বছরের শিশুকন্যাকে ‘ধর্ষণ’]
শনিবার এ খবর জানাজানি হতে প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযুক্তর বাড়িতে চলে ভাঙচুর। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বগুলা-নোনাগঞ্জ রাজ্য সড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করা হয়। নির্যাতিতার ঠাকুমার বক্তব্য তার মেজ ছেলে শারীরিকভাবে সক্ষম নন। ওই ছেলের তিন মেয়েরও শারীরিক সমস্যা রয়েছে। ঠিক মতো কথা বলতে বা বোঝাতে পারে না। এর সুযোগ প্রণয় এই কুকর্ম দিনের পর দিন চালিয়ে যায়। গায়ে ছ্যাঁকা দিয়েও সে থামেনি। আঁচড়ানোও হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.