Advertisement
Advertisement

Breaking News

৭০ হতে পারে স্কুল শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা

বহু মামলায় শিক্ষাক্ষেত্রে সংকটের ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার৷

Teachers age limit will be 70
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 1, 2016 9:51 am
  • Updated:November 1, 2016 9:51 am

সন্দীপ চক্রবর্তী ও ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: স্কুলশিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৭০ করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার৷ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বহু মামলা নানা সময়ে সমস্যা তৈরি করেছে৷ বারবার অনুরোধ করার পরও সেই মামলা তুলে নেওয়া হয়নি৷ ফলে সঙ্কট বেড়েছে স্কুলশিক্ষায়৷ ফল ভুগেছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা৷ পাশাপাশি বেড়েছে স্কুলের সমস্যা৷ শিক্ষক ও ছাত্রের অনুপাতিক হারেও অনেকটা বদল হয়েছে৷ ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় শিক্ষক সংখ্যা অনেকটাই কম হয়েছে৷ এই সবের ভিত্তিতেই সরকারি চিকিৎসকদের মতো শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য৷ যদিও এখনও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবদিক খতিয়ে দেখেই বিষয়টিতে পুরোপুরি সম্মত হবেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর৷

স্কুল শিক্ষকদের অবসরের এখন বয়সসীমা ৬০ বছর৷ অবসরের কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ শিক্ষকের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে৷ দীর্ঘদিন ধরে পড়ানোর জন্য তাঁরা যে দক্ষতা অর্জন করেছেন এর ফলে সেই সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে৷ তবে শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়ানোর সিান্ত নিতে হলে বিধানসভায় বিল পাস করাতে হবে৷ সেই বিল অনুমোদিত হলেই অনেকটা প্রক্রিয়া এগোবে৷ রাজ্যের এই ভাবনার বিরোধিতা এখন থেকেই করতে শুরু করেছে বিরোধীরা৷ বিধানসভায় বিল অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারের বিরোধীদের বাধার সম্মুখীন হতে হবে সরকারকে৷

Advertisement

বিরোধীদের বক্তব্য, এমনিতেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী পাস করে বেরোচ্ছেন৷ ফলে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে৷ শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়ানো হলে এই ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হবেন৷ স্কুলশিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়ানোর জন্য রাজ্যের ভাবনার বিরোধিতা করেছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতিও৷ আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছে তারা৷ তবে সরকারের একটি অংশের মত, অভিজ্ঞ শিক্ষকদের স্কুলশিক্ষায় কাজে লাগানো গেলে বরং ছাত্রছাত্রীরাই উপকৃত হবে৷ টেট নিয়ে জটিলতা ও আদালতে মামলা চলায় নিয়োগ আটকে ছিল৷ হাই কোর্টের রায়ে শেষ পর্যন্ত পথ অনেকটা খুললেও পুরো সমস্যা মেটেনি৷ মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, মামলার জটিলতা মিটলেই নিয়োগ হবে৷ সেই মতো মামলা মেটার ঠিক পরেই পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়েছিল৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ