শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করে প্রতিবেশীর হাতে আক্রান্ত দুই বোন। পূর্ণিমা সাহা ও ববিতা সাহা। অভিযোগ, বাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করতেই প্রতিবেশী মহিলা ছোট বোন ববিতার হাতে কামড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে জখম প্রতিবাদী বড় বোন পূর্ণিমা। কালীপুজোর রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের পশ্চিম বীরনগরের তেলিপাড়া এলাকায়। জখম দুই বোনকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অভিযুক্ত মহিলার নাম স্বপ্না সাহা। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রান্তদের পরিবারের তরফে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[দীপাবলির রাতে বাজি ফাটাতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, কোচবিহারে চাঞ্চল্য]
আক্রান্ত ববিতা বলেন, “রাতে পুজো দেখতে বেরিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় দিদির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেখানেই প্রতিবেশীদের বেশ কয়েকজন শব্দবাজি ফাটাচ্ছিলেন। বাজি পোড়াতেই আগুনের ফুলকি ছিটকে আসছিল গায়ে। শব্দও হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার প্রতিবাদ করি। প্রতিবাদ শুনে আচমকাই প্রতিবেশী মহিলা আমার ডান হাতে কামড়ে দেন। আমার চিৎকারে দিদি ছুটে এসে প্রতিবাদ করতে ওকে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।” যদিও হামলার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মহিলা। এমনকী, কোনওরকম নিষিদ্ধ বাজিও ফাটাননি তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “এমন অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাব।”