সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: গর্ভপাতের জেরে কিশোরী মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃত কিশোরীর বাড়ি জলপাইগুড়ির বানারহাটে। মাস কয়েক আগে সে গণধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার অভিভাবকরা। তাই গণধর্ষণের কোনও খবরই সেসময় প্রকাশ্যে আসেনি। এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে বাড়ির লোকজন বুঝতে পারেন সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। তারপরই লোকচক্ষুর আড়ালে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন অভিভাবকরা। বানারহাটের এক স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথাবার্তাও সেরে ফেলেন।
[স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে মিড-ডে মিল চেটেপুটে খেলেন জেলাশাসক]
গত রবিবার সেখানেই গর্ভপাত করানো হয় নির্যাতিতা কিশোরীর। বলাবাহুল্য, গর্ভপাতের সময় কোনও অসাবধানতার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই ডাক্তার আর দায়ভার নিতে চাননি। সঙ্গেসঙ্গেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেদিন থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল ওই কিশোরী। বুধবার বিকেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে শিলিগুড়ি থানায়।
এদিকে কিশোরী মৃত্যুর খবরে উত্তাল বানারহাট। উত্তেজিত বাসিন্দারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। মৌখিকভাবে বানারহাট থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে কিশোরীর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে তিন অভিযুক্ত। শিলিগুড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই তা বানারহাট থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারপরই নির্দিষ্ট আইনে রুজু হবে মামলা। অন্যদিকে বেআইনি গর্ভপাতের অভিযোগ দায়ের হয়েছে হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছেন মৃত কিশোরীর অভিভাবকরা।