Advertisement
Advertisement
কচুয়া

দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা, কচুয়ার জন্য একগুচ্ছ আগাম ব্যবস্থার কথা ঘোষণা জ্যোতিপ্রিয়র

কী কী পদক্ষেপের কথা জানানো হল?

Temple stampede: Bengal minister mulls step to curb mishap
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 23, 2019 3:41 pm
  • Updated:August 23, 2019 3:42 pm

নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কচুয়ার লোকনাথ ধামে ভিড়ে দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে চায় প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবার বেলার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

[আরও পড়ুন: বিতর্ক হতেই পদক্ষেপ, মিড-ডে মিলে এবার মাছ খাওয়াবে রাজ্য]

কচুয়াধাম এমনিতেই জনবহুল এলাকা। তার উপর উৎসবের মরশুমে ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। জন্মাষ্টমীর পুণ্য তিথিতে সেখানে ভিড় করেছিলেন প্রচুর মানুষ। ফলে দোকানের সংখ্যাও বাড়ে। যথারীতি ঘিঞ্জি হয়ে যায় মন্দির চত্বর। প্রবল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাঁরা একে একে সমবেত হচ্ছিলেন মন্দির চত্বরে। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে মন্দির সংলগ্ন একটি বাড়ির কার্নিসের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু দুর্যোগের মাঝে ভোররাতে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মন্দির সংলগ্ন একটি বাড়ির পাঁচিল। বেসরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাতে চাপা পড়েই মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। আহত অনেকেই।

Advertisement

খবর পেয়েই তদারকি শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। সেইমতো শুক্রবার বেলার দিকেই কচুয়ার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন গাইঘাটার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা বোঝার চেষ্টা করেন। বাড়ির পাঁচিল ভেঙে আশেপাশের এলাকাও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। এসব দেখেশুনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম চালু করার কথা বলেন।

Advertisement

চাকলার মতো কচুয়াতেও পরিকল্পনামাফিক সব করতে হবে বলে ঘোষণা করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি নির্দেশ দেন, যেখানে সেখানে দোকান করা যাবে না। এনিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আগামী ১০-১২দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করতে হবে। আগামী বছর থেকে এধরনের উৎসবের মরশুমে মন্দিরে প্রবেশ এবং প্রস্থান পথ আলাদা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন উত্তর ২৪ পরগনা মন্ত্রী। কারণ, ঢোকা এবং বেরনোর পথ একই হওয়া দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তিনি। আরও জানান, ওই এলাকার রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি হওয়ায় চলাচলের পক্ষে অসুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিসাপেক্ষে রাস্তা ঠিক করতে হবে। রাস্তা চওড়া করা হবে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে মাঝে ব্যারিকেড বসানো হবে। মন্দিরের পাশের পুকুরটির চারপাশ বাঁধিয়ে দেওয়া হবে, যাতে ভিড়ের চাপে সেখানে কেউ পড়ে না যান। তবে এই বিষয়টি নিয়ে জটিলতা আছে। কারণ, পুণ্যার্থীরা এই পুকুরে স্নান করেন। তাই তার পাড় বাঁধানো নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সব হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: মায়ের পরিচিত ‘কাকু’র ছুরির ঘায়ে মৃত্যু শিশুর, জখম মহিলা]

এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন জেলাশাসক, রাজ্য পুলিশের ডিজিও। ফলে ঘটনাকে যে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন, তা স্পষ্ট। এবার থেকে কচুয়ায় এই আয়োজনের সমস্তটাই পুলিশের নিয়্ন্ত্রণে থাকবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ