Advertisement
Advertisement

পর্ষদের পাঠ্যবইয়ে নতুন করে লিখতে হবে স্বপ্নার কাহিনি

নবম ও দশম শ্রেণির সিলেবাসে স্বপ্নার জীবন নথিভুক্ত করার আবেদন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে।

The eighth grade textbook has to be rewritten for Swapna
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:August 31, 2018 9:50 am
  • Updated:August 31, 2018 11:32 am  

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: এতদিন নম্বর পেতে মাথা গুঁজে পড়তে হয়েছে। পড়ে জানতে হয়েছে তাঁর জেদের কথা। ছবি দেখে চিনতে হয়েছে। কিন্তু চক্ষু-কর্ণের বিবাদভঞ্জন হল বুধসন্ধ্যায়। জাতীয় পতাকা গায়ে নিয়ে জাকার্তার ট্রাকে আনন্দে ভাসছেন তো ওই মেয়েটিই। যার ছবি বইয়ের পাতাজুড়ে ছিল, এখন তার ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এশিয়ায়। পড়ুয়ারা বলছে, স্বপ্নাদির কথা পড়া সার্থক হল। গরিব ঘরের মেয়ের পদক জয়ের খিদের কথা ধরা রয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অষ্টম শ্রেণির স্বাস্থ্য ও শরীর শিক্ষা বইয়ের পাতায় পাতায়। চার বছর আগে পড়ার বইয়ে জায়গা পায় স্বপ্নার জীবনী। বুধবারের পর শুরু হল যেন নতুন অধ্যায়। জলপাইগুড়ি থেকে জাকার্তা। এশিয়াডে সোনা জয়ের পর গোটা দেশ এখন স্বপ্নার অপেক্ষায়।

সোনার মেয়ে স্বপ্নাকে সরকারি চাকরি, ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দিচ্ছে রাজ্য ]

Advertisement

যে স্কুলের মাঠ থেকে দৌড় শুরু হয়েছিল স্বপ্নার। সেই পাতকাটা বিএফপি স্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ কর জানান, স্কুলের বাৎসরিক খেলায় স্বপ্নাকে দৌড়াতে দেখেই মনে হয়েছিল ও অনেক দূর দৌড়াবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুল জীবনে স্বপ্নার প্রথম কোচ বিশ্বজিৎ মজুমদার জানান, দুই পায়ে ছয়টি করে আঙুল থাকায় রানিং শু খুজতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। নিজেরাই দু’হাজার টাকা চাঁদা তুলে কলকাতা থেকে জুতো আনান। সেই জুতো পরেই রাজ্যস্তরে উচ্চলম্ফন প্রতিযোগিতায় সোনার পদক জয় করে স্বপ্না। সেই শুরু। এরপর একের পর এক ধাপ উত্তীর্ণ হওয়া। হাজারো বাধার মাঝেও নিজের লক্ষ্যে অটুট ছিল স্বপ্নার। ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা সম্পর্কে উৎসাহিত করতে সেই লড়াইয়ের কথা অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে তুলে ধরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

উত্তমেশ্বর হাই স্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্নার কথা পড়াতে গিয়ে অত্যন্ত গর্ববোধ হয়। যে মেয়েকে হাতে গড়ে তৈরি করেছি এশিয়ান গেমসে তার সোনা জয়ের খবর আরও বেশি গর্বিত করেছে আমাদের। এশিয়াডে স্বপ্নার সোনা জয়ের পর পাঠ্য বইয়ে আরও একটা সংযোজন ঘটবে। নতুন করে লিখতে হবে স্বপ্নার কথা। এশিয়ান গেমসে স্বপ্নার সোনা জয়ের কথা।” স্বপ্নার ক্রীড়া শিক্ষক বিশ্বজিৎ বাবুর দাবি, শুধু  অষ্টম শ্রেণি নয়। ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করতে নবম এবং দশম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে যাতে স্বপ্নার জীবনী পড়ানো হয়, পর্ষদের কাছে সেই আবেদন জানাবেন তারা।

এশিয়াডে সোনালি দৌড় অব্যাহত, ট্র্যাক-এন্ড-ফিল্ডে জোড়া সোনা ভারতের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement