Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nadia

ভেজালে অতিষ্ঠ? শীতে সস্তায় খাাঁটি নলেন গুড়ের স্বাদ পেতে চলে যান নদিয়া

মাজদিয়া হাটে গেলে ১০০ টাকায় পাবেন খেজুর গুড়।

There is a authentic nolen gur market in Nadia

মাজদিয়ায় বসেছে নলেন গুড়ের হাট। 

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 13, 2025 9:35 pm
  • Updated:January 13, 2025 9:35 pm  

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: পিঠেপুলি উৎসব মানেই খেজুর গুড়। যা কিনতে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা খাঁটি গুড় কেনার জন্য আসেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ায়। কিন্তু এখন ভেজাল গুড়ের ঠেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে খাঁটি নলেন গুড়। বর্তমানে এই গুড়ের বড়ই অভাব। কারণ পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। তাই সকলের মুখে হাসি ফোটাতে মাজদিয়ায় বসেছে নলেন গুড়ের হাট। 

পিঠেপুলি উৎসবে খেজুর গুড়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তা কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না। খাঁটি গুড়ের দাম বর্তমানে ৩০০ টাকা কেজি প্রতি। কিন্তু মাজদিয়া হাটে গেলে ১০০ টাকায় পাবেন খেজুর গুড়। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ভেজাল গুড়ের দাম অত্যধিক কম থাকায় নলেন গুড়ের বড়ই অভাব। কারণ বাজারে ভেজাল গুড়ের দাপটে হারাতে বসেছে নলেন গুড়ের স্বাদ। এদিকে, যে সমস্ত চাষিরা ভেজাল গুড় করছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জের সুব্রত বিশ্বাস। তাঁর কথায়, এক কেজি চিনির দাম ৪৫ টাকা। চিনি দিয়ে গুড় তৈরি করলে অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করা সম্ভব। এর ফলে জ্বালানি যেমন সাশ্রয় হচ্ছে তেমনি অল্প খেজুর রসের মধ্যেই চিনি মিশিয়ে অধিক মুনাফা লাভ হচ্ছে। সেই জন্যেই তাঁরা বাধ্য হয়ে ভেজাল করছেন নলেন গুড়। পাশাপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকায় খেজুর গাছের শিউলি খুবই কম হয়ে গিয়েছে। এই কাজ করতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। অনেকে আবার কাজ জানলেও তাঁদের কাছে জমি না থাকায় নিজস্ব গাছ নেই।

Advertisement

জানা গিয়েছে, এই কারণেই বাধ্য হয়ে পরের গাছ রসের জন্য ভাড়া নেন অনেকে। বর্তমানে দুশো থেকে আড়াইশো টাকা গাছপতি রসের জন্য ভাড়া নিচ্ছেন। মূলত পৌষ ও মাঘ এই তিন মাস খেজুর রস পাওয়া যায় গাছ থেকে। সপ্তাহে একটি গাছে দুদিন মাত্র রস পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে মালিককে গাছের পয়সা দিয়ে তাঁদের লোকসান ছাড়া কিছু হচ্ছে না। সেই জন্য অল্প রসের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ কেজি চিনি দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি অনেকেই জানাচ্ছেন, ভেজাল গুড়ে এতটাই বাজার ছেয়ে গিয়েছে যে আসল গুড় করে নিয়ে গেলে সেটা আবার কালো রং হচ্ছে। সেই গুড় ব্যবসায়ীরা নিতে চাচ্ছেন না। তাই চিনি মিশিয়ে সাদা করা হচ্ছে যা সকলের এর চোখেও ধরছে। তাই ভেজাল গুড়ে যেমন লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা, তেমনি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন । তাই ভেজালের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে নলেন গুড়ের ঐতিহ্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement