Advertisement
Advertisement

Breaking News

আঙুল নেই, তাই আধার তৈরি না হওয়ায় বন্ধ অবসরপ্রাপ্ত ইসিএল কর্মীর পেনশন

শেষ বয়সে কার্যত অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী৷

There is no finger, so there is no Aadhaar Card
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 22, 2018 8:18 pm
  • Updated:June 22, 2018 8:18 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: আঙুল নেই, তাই আধারও নেই! আধার না থাকায় হরি আপটার জীবনেই এখন নেমে এসেছে আঁধার৷ আধার কার্ড না থাকায় পেনশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইসিএলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকের৷ কুষ্ঠ রোগের কারণে তাঁর হাতের আঙুলগুলি প্রায় ক্ষয়ে গিয়েছে৷ ফলে আধার কার্ড তৈরি করা যাচ্ছে না৷ তাই ব্যাংকের সঙ্গে আধার লিঙ্ক না থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে পেনশন৷ শেষ বয়সে টাকা না পেয়ে কার্যত অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন ইসিএলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী৷

অন্ডালের খাঁদরার নাগকাজোরা কোলিয়ারির কর্মী ছিলেন হরি আপটা৷ ১৯৯৮ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন৷ অবসরের পর থেকে নিয়মিতভাবেই ব্যাংক থেকে পেনশন পাচ্ছিলেন৷ মেয়ের বাড়িতেই থাকেন হরি আপটা৷ আচমকাই ব্যাংক জানিয়ে দেয়, আর তাঁকে পেনশন দেওয়া যাবে না৷ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় পেনশন৷

Advertisement

[চা বাগানে ঘনিষ্ঠ প্রেমিক যুগল, হাতির হামলায় প্রাণ গেল দু’জনেরই]

কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে হাতের আঙুলগুলি ক্ষয়ে গিয়েছে বহুদিন আগেই৷ ফলে, কোনভাবেই আধার কার্ড তৈরি করা আর সম্ভব হয়নি৷ আধার কার্ড না থাকায় আটকে পেনশন৷ ব্যাংক জানিয়েছে, আধার কার্ড ছাড়া কোনভাবেই তারা আর পেনশনের টাকা দিতে পারবে না৷ পেনশনের টাকা না পেয়ে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে জানিয়েও এই বিষয়ে কোন সাফল্য মেলেনি৷ মেলেনি সুরাহা৷ পেনশন আটকে যাওয়ার কারণে রীতিমতো অর্থ সঙ্কটে ভুগছে তিনি৷ পেট চালাতে তাই মেয়ে-জামাইয়ের কাছে গঞ্জনাও শুনতে হচ্ছে৷ অবসর জীবনের কষ্টার্জিত হকের টাকা পেতেও স্রেফ আধার কার্ড না থাকায় ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে৷ হাতের আঙুল না থাকলেও চোখের রেটিনার ছাপ দিয়েও আধার কার্ড তৈরি করা সম্ভব কিনা তা জানতে চেয়ে চেনা-জানা বিভিন্ন মানুষের কাছে যাওয়াই এখন একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে হরির৷ বারংবার হেনস্তার শিকার হওয়ার পর তিনি বলেন,“রক্ত ঘাম ঝরিয়ে খনিতে কাজ করেছি৷ অবসরের পর যে পেনশনের টাকা পেতাম তাও বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংক৷ এইভাবে চললে আমাকে মৃত্যুর আবেদন করতে হবে প্রশাসনের কাছে৷” দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই এই ধরনের সমস্যার অভিযোগ আসছে প্রশাসনের কাছে৷ আমরাও সংশ্লিষ্ট মহলে এই অভিযোগগুলি পাঠিয়ে দিয়েছি৷ কিন্তু, এখনও কোনও সুরাহা হয়নি৷ যে সমস্ত সংস্থা এই আধার কার্ড তৈরির কাজ করছে তাদেরই একটি বিকল্প রাস্তা বের করতে হবে এই সমস্যার সমাধানে৷”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ