১৪ আশ্বিন  ১৪৩০  সোমবার ২ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

পড়ুয়া শতাধিক, স্কুল সামলাচ্ছেন মাত্র ১ শিক্ষিকা! চা বলয়ের শিক্ষাঙ্গনে দুর্দশার চিত্র

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: December 17, 2022 6:53 pm|    Updated: December 17, 2022 6:53 pm

There is only one teacher who takes all responsbilities to run a junior high school in Jalpaiguri | Sangbad Pratidin

অরূপ বসাক, মালবাজার: একটা স্কুল, সমস্যা অনেক। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট ব্লকের মোগলকাটা টি জি হিন্দি জুনিয়র হাইস্কুল চলছে মাত্র একজন শিক্ষিকার ভরসায়! এখানেই থেমে নেই। এরপর রয়েছে পরিকাঠামোগত সমস্যা। তার মধ্যে নেই স্কুলের সীমানা প্রাচীর, পাশেই রয়েছে শ্মশান, ব্যবহারের অযোগ্য শৌচালয়, মিড ডে মিল খাবারের জন্য নেই ডাইনিং রুম।

মাঠে বসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসে খেতে হয় মিড ডে মিল (Mid day meal)। খেলার মাঠটিও অসমতল, সেখনেই খেলছে স্কুল পড়ুয়ারা। পানীয় জল থাকলেও তার কোন নিশ্চয়তা নেই। দূরে গিয়ে আনতে হয় মিড-ডে মিল রান্নার জল, স্কুলের বারান্দার দেওয়ালে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে বৈদ্যুতিক তার। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এভাবেই বিভিন্ন সমস্যা মাথায় নিয়ে বছরের পর চলছে স্কুল। মোগলকাটা চা বাগান, তোতাপাড়া চা বাগান এলাকার একমাত্র হিন্দি স্কুলের এই সমস্যা স্থানীয় প্রশাসন জানে না এমন নয় সকলেরই জানে।

[আরও পড়ুন: ‘ভুল হলে ক্ষমা করুন, মুখ ফেরাবেন না’, রানাঘাটের জনসভায় আরজি অভিষেকের]

এরপরও স্থানীয় প্রশাসন না জানার ভান করে কিন্তু উদ্যোগ নেয়নি সমস্যার সমাধানে। আর এই সমস্যার মাঝেই স্কুলে একশোর বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করতে আসছে। আর তাতে অভিভাবকরা চিন্তিত। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, চা বাগানে থাকা স্কুলটির পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করুক স্থানীয় প্রশাসন। স্কুলের শিক্ষিকা শকুন্তলা তিওয়ারি বলেন, ”নামেই স্কুল কিন্তু স্কুলে নেই-এর সংখ্যাই অনেক বেশি। পানীয় জল, সীমানা প্রাচীর, বাথরুম কিছুই নেই। স্কুলটি আউট সাইডে হওয়ার দরুণ মোবাইল নেটওয়ার্কেরও সমস্যা আছে। এত ছাত্রছাত্রীদের একাই সামলাতে হয়।

[আরও পড়ুন: ফের রাজধানী এক্সপ্রেসের খাবারে আরশোলা, অমলেটের ছবি-সহ টুইট যাত্রীর, প্রশ্নের মুখে রেল]

বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে ধূপগুড়ি (Dhupguri) চার নম্বর সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শেফালি ওঁরাও জানান, ”চা বাগান এলাকার প্রায় জুনিয়র স্কুলের একই সমস্যা রয়েছে। কিন্তু শৌচালয়, ডাইনিং রুম – এগুলি স্থানীয় বিডিও অফিসে জানানো হয়েছে। তারাই উদ্যোগ নিয়ে বানিয়ে দিলে সমাধান সম্ভব। এছাড়া শিক্ষকের সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়। তবুও কন্ট্রাক্টচ্যুয়াল শিক্ষক নেওয়ার বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি।”

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে