Advertisement
Advertisement

Breaking News

দু’টো স্কুলের খরচ জোগান শহরের এই ট্যাক্সিচালক

চালান একটি আনথ আশ্রমও, কুর্নিশ তাঁকে৷

This Kolkata Cabbie runs two schools, funds orphanage
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 7, 2017 10:43 am
  • Updated:December 18, 2019 6:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় শ্রেণিতে ক্লাসে প্রথম হয়েছিল ছেলেটি৷ দু’চোখে স্বপ্ন ছিল, পড়াশোনা করে অনেকদূর এগোনোর৷ কিন্তু বাধ সেধেছিল দারিদ্র্য৷ সে কথা কোনওদিন ভুলতে পারেননি৷ পরবর্তী জীবনে পেশার তাগিদে হাত রেখেছেন ট্যাক্সির স্টিয়ারিংয়ে৷ কিন্তু পাশপাশি গড়ে তুলেছেন দুটো স্কুল৷ চালান একটি অনাথ আশ্রমও৷ শহরের ট্যাক্সিচালক গাজি জালালউদ্দিনের কাহিনি এরকমই রূপকথার মতো৷

ধর্ম আর রাজনীতি এক নয়, ফের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর ]

Advertisement

পারিবারিক দারিদ্র্যের কারণেই পড়াশোনার পাঠ চোকাতে হয়েছে তাড়াতাড়ি৷ ভিটেমাটি ছেড়ে বালক বয়সেই পাড়ি জমিয়েছিলেন কলকাতায়৷ কিন্তু কাজ কোথায়? অগত্যা ভিক্ষেই ভরসা৷ তা করেই গোটা জীবন অতিবাহিত করতে নারাজ ছিল ছেলেটি৷ শুরু হয় কাজের সন্ধান৷ প্রথমে রিক্সা চালানো৷ আরও পরে ট্যাক্সিতে হাত৷

Advertisement

উপার্জন মন্দ নয়৷ দারিদ্র্য ঘুচেছিল অনেকটাই৷ এখান থেকেই গাজির জীবন ছাপোষা হয়ে উঠতে পারত৷ কিন্তু হয়ে উঠতে দেননি তিনি নিজেই৷ যে দারিদ্র্যের কারণে তিনি পড়াশোনা করতে পারেননি, তা যেন আর কারও ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক না হয়ে ওঠে৷ তাই পণ করেছিলেন স্কুল তৈরি করার৷ জয়নগরের কাছে ঠাকুরচক গ্রামে সে স্কুল তৈরিও করেছিলেন তিনি৷ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ছেলেমেয়ারই ছিল তাঁর স্কুলের পড়ুয়া৷ দু-কামরা ঘরের ছোট্ট স্কুল৷ প্রথমে ছিল মোটে ২২ জন ছাত্র-ছাত্রী৷ তা দিয়েই শুরু হয়েছিল অভিযান৷ পড়ুয়াদের পড়াশোনার সমস্ত খরচ জোগাতেন তিনিই৷ তাঁর গল্প শুনে যাত্রীরাও কখনও উৎসাহ পেতেন৷ সাহায্য করতেন৷ তা দিয়েই চলত স্কুলের খরচ৷

হুইল চেয়ার নেই, তাই হামাগুড়ি দিয়ে স্কুলে যায় এই ছাত্র ]

এরপরই আর একজন আসেন মসীহা হয়ে৷ তিনি জায়গা দান করেন বেশ কিছুটা৷ তৈরি হয় আরও একটা স্কুল৷ এছাড়া অনাথ বাচ্চাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে একটি অনাথ আশ্রমও৷ এর আগে বিনামূল্যে ড্রাইভিং শেখানোরও ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি৷

দুটো স্কুল মিলিয়ে এখন প্রায় ১৬ জন শিক্ষক৷ জনা চারশো পড়ুয়া৷ অনেক পড়ুয়াই ইতিমধ্যে উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করে সরকারি চাকরি পেয়েছেন৷ আর এ খবরই তৃপ্তি দেয় তাঁকে৷

বয়স পেরিয়ে ষাটের কোঠা৷ কিন্তু এখনও এ কাজে নিরলস তিনি৷ সকলেই পারেন না, তবু কেউ কেউ পারেন জীবনে নমুনাস্বরূপ হয়ে উঠতে৷ নিঃসন্দেহে গাজি জালালউদ্দিন সেরকমই ব্যতিক্রমী একজন মানুষ৷

মোবাইলে মজে মা, খাবার চাওয়ায় গলা টিপে ছেলেকে খুন  ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ