Advertisement
Advertisement

Breaking News

মন খারাপ চরমেঘনার, উমার প্রবেশ মানা এখানে

এখানে বাতাসে শিউলির গন্ধ আছে৷ মাথাভাঙা নদীর ধারে কাশফুলের উপত্যকাও রয়েছে৷ কিন্তু মা দুর্গা নেই৷

Thousend Hindus unable to perform Durga puja in Char Meghna
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 8, 2016 10:17 am
  • Updated:October 8, 2016 10:17 am

পলাশ পাত্র: মনখারাপ চরমেঘনার৷ এখানে বাতাসে শিউলির গন্ধ আছে৷ মাথাভাঙা নদীর ধারে কাশফুলের উপত্যকাও রয়েছে৷ কিন্তু মা দুর্গা নেই৷ কাঁটাতারের ওপারের হাজার মানুষের বাসভূমি এই চরমেঘনার গ্রামে এবারও হচ্ছে না দুর্গাপুজো৷

কাঁটাতারের ওপারে হলেও ২০১৫ সালের ৩১ জুলাইয়ের পর থেকে এই গ্রাম ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে আসে৷ চরমেঘনায় প্রায় এক হাজার মানুষের বাস৷ ৫৪৫ ভোটার৷ করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁরা ভোট দেন৷ লোকসভা কেন্দ্রটি অবশ্য মুর্শিদাবাদ৷ চরমেঘনাবাসী সকলেই কৃষিজীবী৷ ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও চরমেঘনাবাসী কিছুদিন আগে পর্যন্তও নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিল৷ ভারতীয় ভূখণ্ডে আসার পর থেকে শুরু হয়েছে উন্নয়নের কাজ৷ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দেড় কিমি দীর্ঘ একটি পাকা রাস্তার অনুমোদন মিলেছে৷ এছাড়াও ইন্দিরা আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প ও উন্নয়নমূলক কাজের সুফলও আগামী দিনে গ্রামবাসীরা পেতে চলেছেন৷ ধীরে ধীরে শ্রীবৃদ্ধির আলো আসতে চলেছে এই গ্রাম৷ কিন্তু এতসব আশা ও আনন্দের মধ্যেও মনখারাপ চরমেঘনাবাসী৷

Advertisement

গ্রামের কচিকাঁচা থেকে প্রবীণ সকলেই আশা করেছিল এবার হয়তো মা দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হতে পারবে তারা৷ সেই আশা এবারও বাস্তবায়িত হয়নি৷ বিভিন্ন সময়ে গ্রামের মানুষ দুর্গাপুজোর আয়োজন করার জন্য সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করেছেন৷ লাভ হয়নি৷ এর পিছনে যেমন নিরাপত্তার বিষয়টি রয়েছে তেমনই প্রশাসনিক অনুমতি না মেলা ও আর্থিক সমস্যাটাও অন্যতম কারণ৷ অথচ বারো মাসে তেরো পার্বণের মতো অনেক পুজোই হয় এখানে৷ পূজিত হন মা মনসা, কালী, আবার ভাদ্র মাসে হয় গাছপুজোও৷ শরৎকাল এলেই আকাশে বাতাসে যখন কাশফুলের গন্ধ জানান দেয় মা দুর্গা আসছেন৷ সেই আনন্দে কিন্তু মাতোয়ারা হতে পারেন না গ্রামবাসীরা৷ চরমেঘনা থেকে ছয় কিমি দূরে নদিয়ার প্রাচীন দুর্গাপুজো নস্করি মায়ের কাছেই অঞ্জলি দেয় এই গ্রামের বাসিন্দারা৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বুদ্ধদেব মণ্ডল জানালেন, “দুর্গাপুজো এলেই এখানকার মানুষের মন খারাপ হয়ে যায়৷ অনেক চেষ্টা করেছি গ্রামে পুজো করার৷ কিন্তু বারোয়ারি পুজো করতে গেলে অনুমতি পাওয়া যায় না৷ ওপার থেকে দুষ্কৃতী হানা হতে পারে৷ কাজেই নিরাপত্তারও একটা বিষয় রয়েছে৷” ওই পঞ্চায়েত সদস্যের কথায়, “আর্থিক বিষয়টা খুব একটা সমস্যা নয়৷ সকলে কিছু কিছু করে দিলে পুজোটা হয়ে যেত৷ কিন্তু অনুমতিই তো মেলে না৷” তেহট্টের মহকুমা শাসক অর্ণব চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য সাফ কথা, কোনও নতুন পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ