ছবি: প্রতীকী
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: উপ সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালাল তিন বিচারাধীন বন্দি। রবিবার দুপুরের ঘটনায় শোরগোল দুর্গাপুর (Durgapur)মহকুমার উপসংশোধনাগারে। খবর ছড়িয়ে পড়ামাত্রই জরুরি ভিত্তিতে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। গভীর রাতে মলানদিঘির জঙ্গল থেকে একজন ধরা পড়ে। তবে বাকি ২ জন এখনও পলাতক। ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে তাদের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ।
দুর্গাপুর উপ সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল অন্ডালের (Andal)পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি কাণ্ডের আসামি ভুবন নিয়োগী, খুনের আসামী মহম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং নেপাল মিদ্দা। রবিবার দুপুরে সুযোগ বুঝে দুর্গাপুর মহকুমার উপ সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালায় এই তিনজন। খবর পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। পুলিশ সূত্রে খবর, এরা মলানদিঘির জঙ্গল হয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। তল্লাশি চালিয়ে সোমবার ভোর রাতে হাতেনাতে ভুবন নিয়োগী নামে আসামিকে ধরে ফেলে পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসার এসিপি (ACP) সুমন জয়সওয়াল। ধৃত ভুবন নিয়োগীকে সঙ্গে নিয়েই মহম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং নেপাল মিদ্দার খোঁজ শুরু হয়। এরা সকলেই অন্ডালে পেট্রল পাম্প ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত। উপ সংশোধনাগারে রেখে এদের বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু তারই মধ্যে তিনজনের পালানোর ঘটনায় নিঃসন্দেহে পুলিশ ও জেল কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বেড়েছে।
ধৃত ভুবন নিয়োগীকে সঙ্গে নিয়ে কোন পথে বাকি ২ জন পালিয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই পথেই খোঁজ চলছে বাকি দু’জনের। গোটা অপারেশনের নেতৃত্বে রয়েছেন কাঁকসার এসিপি। জঙ্গলের পথ ধরে যদি শাহাবুদ্দিন ও নেপাল ভিনরাজ্যে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, তাহলে তাদের খুঁজে বের করা কিছুটা কষ্টসাধ্য হবে বলেই মত পুলিশ মহলের একাংশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.